সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

সরকার বস্তা ভরে টাকা দেবে এটা হতে পারে না

-এ বি এম শামসুদ্দিন

সরকার বস্তা ভরে টাকা দেবে এটা হতে পারে না

সরকার পোশাকশিল্প মালিকদের বস্তা ভরে টাকা দেবে, এটা হতে পারে না। বরং সরকার আমাদের নীতি সহায়তা দেবে। এটাই মনে করেন বিজিএমইএ নির্বাচনে ফোরামের প্যানেল প্রধান ও সভাপতি প্রার্থী এবং হান্নান গ্রুপের চেয়ারম্যান এ বি এম শামসুদ্দিন। তার মতে, সামনের দিনে নীতি সহায়তা পাওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারের কাছ থেকে এই নীতি সহায়তা আনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে। নেতাদের আরও পেশাদারি মনস্ক হতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন বিজিএমইএ সাবেক সহসভাপতি ও সংগঠনটির আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী এ বি এম শামসুদ্দিন। তার মতে, বিজিএমইএ নির্বাচন ভিন্নধর্মী। এখানে সবাই শিক্ষিত। সবাই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করেন। নির্বাচন হলে বোঝা যায়, তারা কতটা দায়িত্বশীল। মহামারী করোনার কঠিন সময়ে সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ দুটোই আছে। করোনা আমাদের শিক্ষা দিয়েছে, কীভাবে তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষা নিয়ে মানুষ ঘুরে দাঁড়াবে। এক্ষেত্রে আগামী দিনের বিজিএমইএ নেতৃত্বকে হোমওয়ার্ক করে কথা বলতে হবে। যখন যে পরিস্থিতি হবে, তা মোকাবিলা করার দৃঢ়তা থাকতে হবে। তিনি বলেন, করোনায় লকডাউনের কারণে ইউরোপের দেশগুলোতে শপিং মল বন্ধ রয়েছে। ফলে ক্রেতারা ক্রয়াদেশ কমিয়ে দিয়েছেন। এখন ব্যাপকহারে ক্রয়াদেশের ঘাটতি রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে, ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে পারব না। পোশাকশিল্প মালিকরা এখন ক্রয়াদেশ না পাওয়ায় চরম সমস্যায় রয়েছেন। ফোরামের প্যানেল প্রধান বলেন, বাংলাদেশে বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং সামনে থেকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর থাকায় আমরা অনেকটাই ভালো আছি। বিজিএমইএর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজর সব সময়ই ছিল। এর কারণ হলো, পোশাক খাতে সবচেয়ে বেশি নারী শ্রমিক কাজ করেন। এটি প্রধানমন্ত্রীর ভাবনায় থাকে। প্রধানমন্ত্রী বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে শ্রমিকদের চার মাসের বেতনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, যা পোশাক খাতের জন্য সত্যিই বড় ব্যাপার। কভিড-১৯ দুর্যোগে পোশাক খাত টিকে থাকার পেছনে প্রধানমন্ত্রীর এ অবদান এশিয়ার আর কোনো দেশের সরকারপ্রধান করেছেন বলে আমার জানা নেই। বিজিএমইএ নির্বাচনে এই সভাপতি প্রার্থী বলেন, কভিডজনিত পরিবর্তিত বিশ্বে পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ কেমন হবে, ভালো-মন্দ কিছু অনুমান করা গেলেও সবকিছু ঠিক কী হবে তা আগেভাগে বলা যাবে না। এমন অনেক পরিস্থিতি আসবে, যখন তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর এ জন্য বিজিএমইএর দরকার দক্ষ নেতৃত্ব ও গবেষক প্যানেল। যাদের কাছে বিশ্বের খবরাখবর সবসময় আসবে এবং সে পরিস্থিতির আলোকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাদের থাকবে।

 পোশাক খাতে পেশাদারি মানসিকতার কোনো ঘাটতি নেই। তবে যারা এ খাতের নেতৃত্বে ছিলেন, তাদের মধ্যে পেশাদারিত্বের প্রতিফলনটা ধারাবাহিক ছিল না।

হান্নান গ্রুপের চেয়ারম্যান এ বি এম শামসুদ্দিন বলেন, গত দুই বছরে ইউরোপসহ অনেক দেশই বাংলাদেশের শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নতির বিষয়টি বেশ প্রশংসা করেছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পোশাক খাতের পাশাপাশি দেশের সব খাতকে ভূমিকা রাখতে হবে। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা থাকলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সুসংহত করা কেউ আটকে রাখতে পারবে না। তবে পদক্ষেপগুলো হতে হবে বাস্তবসম্মত।

সর্বশেষ খবর