বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
আশুলিয়ায় অপহরণের পর হত্যা

রাজার পরিবারে শোকের মাতম, তিন দিনেও গ্রেফতার হয়নি খুনি

সাভার প্রতিনিধি

সাভারের আশুলিয়ায় অপহরণের পর হত্যার শিকার শিশু রাজার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ছেলে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন মা খাদেজা বেগম। ছেলের ছবি বুকে নিয়ে ডুকরে কাঁদছেন তিনি। একই অবস্থা রাজার বাবা কালাম মাদবরেরও। পরিবারটিকে সান্ত্বনা দিতে এলাকাবাসীসহ দূর-দূরান্ত থেকে আসা নারী-পুরুষ ভিড় জমাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আত্মীয়স্বজন বা গণমাধ্যম কর্মীদের দেখলেই  কেঁদে ওঠেন মা খাদেজা বেগম। দাবি করেন খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি।

আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ী গ্রামে কালাম মাদবরের বাড়িতে গেলে এমন চিত্র চোখে পড়ে। শিশু রাজা মাদবরের হত্যাকান্ডের মূল হোতা আরিফুল ধরা না পড়ায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিজেদের  ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন এলাকার নারীরা। রাত হলেই তাদের

আতঙ্ক বেড়ে যায়। এদিকে রাজা খুন হওয়ায় ঘটনায় এলাকাবাসী আরিফুলের স্ত্রীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। পালিয়ে গেছে মূল আসামি আরিফুল। ছেলের খুনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কালাম মাদবর বলেন, আরিফুল ও তার স্ত্রী লিজা ছিল বেপরোয়া। তুচ্ছ ঘটনায় তারা দা-বঁটি নিয়ে আমাদের মারতে আসত। মাত্র ১৫ দিন আগে আমার বাড়ির ৪তলায় সাড়ে ৫ হাজার টাকা ভাড়ায় আসে। এই ভাড়াটিয়া দম্পতিই রাজাকে অপহরণ করে। পরে মুক্তিপণ হিসবে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে তারা। বিষয়টি জানাজানি হলে এবং মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে ২৭ মার্চ রাতে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে মুখে স্কচটেপ মেরে বিদ্যুতের শক দিয়ে এবং ঘাড় মটকে আমার ছেলেকে হত্যা করে। ছেলেকে হত্যা করে তারা প্রথমে লাশ ঘরের মধ্যে বস্তাবন্দী করে রাখে পরে ৪তলা থেকে ফেলে দেয়। আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ী গ্রামের ৪র্থ শ্রেণি পড়ুয়া রাজা মাদবর ২৭ মার্চ নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুঁজির পর স্বজনরা জানতে পারেন নিজ বাড়ির ভাড়াটিয়া রাজাকে অপহরণ করেছে। একপর্যায়ে ৫০ লাখ টাকাও দাবি করে আরিফুল ইসলাম নামে এই যুবক। এদিকে শিশু রাজা খুনের ঘটনায় জড়িত আরিফুল-লিজা দম্পতিকে গ্রেফতার করে ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। লিজা নামে অভিযুক্ত এক নারীকে আটক করা হয়েছে। কী কারণে শিশুটিকে অপহরণের পরে হত্যা করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত করছে পুলিশ। আমরা মূল আসামি আরিফুল ইসলামকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।

সর্বশেষ খবর