আঙুলের ছাপ ও চেহারা যাতে শনাক্ত করা না যায় সে কৌশল অবলম্বন করে ডাকাতির সময় হাতে ও মুখে গ্লাভস পরে নিত চক্রটি। ভারতীয় টিভি সিরিয়াল সিআইডি দেখে তারা এ কৌশল শিখেছিল। গত ১০ বছর ধরে খুলনা ও রংপুরে ডাকাতি করার একপর্যায়ে অনেক মামলার আসামি হওয়ায় তারা ঢাকার আশপাশে ডাকাতি শুরু করে।

ডাকাতির আগে ও পরে চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করত। তারা ঢাকার কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহারে প্রবাসীদের বাড়িতে ডাকাতি করত। সম্প্রতি এ চক্রের রুবেল ফরাজী ওরফে রিফাত হাওলাদার, সোহাগ শেখ ওরফে রুবেল ও সোহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন বলেন, বুধবার রাতে রাজধানীর খিলগাঁও ও শাহজাহানপুরে অভিযান চালিয়ে ডাকাত চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হাফ প্যান্ট, গেঞ্জি, গ্রিল ভাঙার যন্ত্র ও দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। কয়েক বছর ধরে এ চক্রটি ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোয় প্রবাসীদের বাসাবাড়িতে ডাকাতি করে আসছিল। এ চক্রের সদস্যরা একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইল সিমের পরিবর্তে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করত। তারা বাসাবাড়ির গ্রিল ও জানালা কেটে মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকজনকে জিম্মি করে ডাকাতি করত। গ্রেফতারকৃতরা গত মার্চে কেরানীগঞ্জে আটটি ডাকাতি করেছে। গ্রেফতার রুবেল, সোহাগ ও সোহেলের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সোহেল এক মামলায় ১৭ বছর ও রুবেল ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি।