শনিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

কাকের অভয়ারণ্য হরিহরপুর গ্রাম

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

কাকের অভয়ারণ্য হরিহরপুর গ্রাম

কাকের অভয়ারণ্য দিনাজপুরের ছোট গ্রাম হরিহরপুর। সন্ধ্যার আগে গ্রামের মাঝ দিয়ে রাস্তায় হেঁটে গেলে এদের চোখে পড়ে, শোনা যায় ‘কা কা’ ডাক। প্রতিটি বাঁশ ঝাড়, কিংবা গাছের ডালে ডালে বোঝাই হয়ে থাকে এরা।

এখানে সকালে কিংবা বিকাল-সন্ধ্যায় দেখা যায় হাজার হাজার কাক। এই চিত্র প্রতিদিনের। ওই সময়ে গাছের মাথায় তাকালে মনে হয় গাছের পাতাই নেই, আছে শুধু কাক আর কাক। খুব ভোরে এসব কাক চলে যায় দূর-দূরান্তের এলাকায়। বিকাল গড়ালেই আসতে শুরু করে এরা। সন্ধ্যায় বসে কাকদের মিলন মেলা। রাতে এরা থাকে এখানেই। এ কারণে গ্রামটি এখন কাউয়া (কাক) পাড়া নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। তবে এত কাক থাকলেও এলাকার মানুষের নেই কোনো বিরক্তি। কাউয়াপাড়া ওরফে এই হরিহরপুর গ্রামটি দিনাজপুর সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে অবস্থিত।   কলেজছাত্র নাঈম ইসলাম, রায়হানসহ হরিহরপুর গ্রামের অনেকেই জানান, এই এলাকায় অনেক বছর ধ?রে এসব কাক এক স?ঙ্গে বসব?াস কর?ছে। এলাকার মানুষ প্রকৃতির এই কাকের ওপর বিরক্ত হন না। তা ছাড়া এরা দিনের বেলায় থাকে না। মানুষও এদের ক্ষতি করে না। এ কারণে নিরাপদ আবাস মনে করেই রাতে কাক পাখিদের বসবাস চলছে।  স্থানীয় বা?সিন্দা তৈমুর ইসলাম (৪৫) জানান, জন্ম থে?কে কা?ক?দের দেখে?ছি। গ্রা?মের মানুষ কাক?দের কোনো বিরক্ত ক?রে না।? কারও কোনো ক্ষতির কারণ নয়। বরং কাকগুলো এই এলাকার পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখে।

উল্লেখ্য, কাক পরিচিত একটি পাখি। এদের কখনো উচ্চৈঃস্বরে আবার কখনো চাপা স্বরে কা-কা  আওয়াজ করে থাকে। অন্যসব পাখির মতো সুন্দর না হলেও প্রকৃতির পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্ব বহন করে। কাক পরিবেশের অবাঞ্ছিত অনেক জিনিসই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। যেগুলো পরিবেশে উচ্ছিষ্ট হিসেবে মানুষ ফেলে দেয়। এসব উচ্ছিষ্ট পরিবেশকে দূষণ সৃষ্টি করে অথচ সে সব খাদ্য হিসেবে কাক আহার করায় পরিবেশে বিরূপ প্রভাব পড়ে না।

সর্বশেষ খবর