রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে

-ড. মুস্তাফিজুর রহমান

স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, এখানে করোনার একটা প্রভাব তো আগে থেকেই রয়েছে। এখন আবার করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা ঠেকাতে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন দেওয়া হচ্ছে। এ লকডাউনের সময় মানুষের জীবন রক্ষায় স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি উভয়কেই সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। এখন যে সাত দিনের একটা পরিকল্পনা করা হচ্ছে এটা বড় কোনো সময় নয়। এখানে সাধারণভাবে যে অভিঘাতটা এসেছে সেখানে কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য খাতে একটা প্রভাব পড়ছে। অর্থনীতিতে চলমান যে নেতিবাচক প্রভাবটা রয়েছে সেটাকে আরও ত্বরান্বিত করতে এ লকডাউন। ফলে এটাকে মোকাবিলা করতে হবে। এ সাত দিনের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি তো আছে এবং থাকবেই। এটাকে মেনে নিয়েই করতে হবে। এ সময়ে এটা করা না হলে সামনে হয়তো ঝুঁকিটা আরও বাড়বে। সেটা শুধু স্বাস্থ্য খাতে সীমিত থাকবে না। সেটা ব্যাপকভাবে অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করবে। তবে সরকার এখন যেটা সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে আমার মনে হয় সেটা ঠিকই আছে। এখন এটা জরুরি। না হলে পরবর্তীতে ঝুঁকিটা আরও বেড়ে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়বে বলে তিনি মনে করেন।

ড. মুস্তাফিজুর রহমান গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এখানে এখন খাদ্য সরবরাহটা স্বাভাবিক রাখতে হবে। বিশেষ করে যারা দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ তাদের জন্য একটা প্রস্তুতি থাকতে হবে। এখানে সরকার চাইলে নিজস্ব ব্যবস্থার পাশাপাশি বেসরকারি খাতের বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থাকেও কাজে লাগাতে পারে। আবার এখানে মধ্যমেয়াদি যে প্রোগ্রামগুলো আছে যেমন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, টিআর, কাবিখা, ক্যাশ সার্ভিস এসব কর্মসূচিও বহাল রাখতে হবে। যেসব কলকারখানা খোলা থাকবে সেগুলোয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সোমবার লকডাউন শুরু হলে- এখানে সরকারের হয়তো কিছুটা প্রস্তুতিও রয়েছে বলে আমার ধারণা। যাতে হতদরিদ্র মানুষের ভোগান্তিটা কম হয়। বিশেষ করে শহরাঞ্চলের যেসব গরিব মানুষ আছে, বস্তিবাসী তাদের খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। আর স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টা তো সবার জন্যই সমান হওয়া উচিত।

সর্বশেষ খবর