শিরোনাম
রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

সামনে করোনার চতুর্থ ঢেউ, ইসরায়েলে মিলল নতুন আরেক ধরন

প্রতিদিন ডেস্ক

করোনাভাইরাসের তান্ডবে বিপর্যস্ত বিশ্ব এবার এর চতুর্থ ঢেউয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে গেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন রাজ্যের গভর্নর কেট ব্রাউন। এ অবস্থায় ইসরায়েলে পাওয়া গেছে করোনার নতুন এমন আরেকটি ধরন, যা তরল বর্জ্যরে ভিতর অবস্থান করে।

এদিকে ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ হিসাবে বলা হয়েছে, গতকাল সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছায় ২৮ লাখ ৫২ হাজার ৭২৯ জনে এবং নতুন আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছায় প্রায় ১৩ কোটি ১০ লাখে। আগের দিন শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হন প্রায় ৬৪ লাখ মানুষ এবং মারা যান অন্তত সাড়ে ১০ হাজার জন। এ দিন সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ছিল ব্রাজিলে, ২ হাজার ৮০৭ জন। মৃত্যুতে এর পরের অবস্থানে ছিল যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজার ১ জন, ভারতে ৭১৩ জন, পোলান্ডে ৪৯৮ জন, ইতালিতে ৪৮১ জন, মেক্সিকোয় ৪৫৪ জন, ইউক্রেনে ৪৩৩ জন, রাশিয়ায় ৪০০ জন, ফ্রান্সে ৩০৪ জন।

করোনার চতুর্থ ঢেউ : করোনা বিধিনিষেধ মেনে চলতে লোকজনকে আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন রাজ্যের গভর্নর কেট ব্রাউন। মার্কিন নাগরিকরা করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে জানান তিনি। সিএনএন জানায়, গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের এমন আশঙ্কার কথা জানান কেট ব্রাউন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে, ওরেগন এবং সারা দেশে এই ভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ আমাদের দোরগোড়ায় চলে এসেছে। তবে ওরেগনে শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সৌভাগ্যক্রমে এখানে অন্যান্য রাজ্যের মতো বড় ধরনের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তাঁর কথা সত্য হলে গোটা বিশ্বই এ পরিস্থিতির মুখে রয়েছে।

আরেক ধরন ইসরায়েলে : নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) সন্ধান পেয়েছেন ইসরায়েলের বিজ্ঞানীরা। এর নামকরণ করা হয়েছে করোনার ইসরায়েলি ভ্যারিয়েন্ট। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র : জেরুজালেম পোস্ট। গত বছরের জুলাই থেকেই এ ধরনটি নিয়ে গবেষণা করে আসছিলেন ইসরায়েলের বিজ্ঞানীরা। গত সপ্তাহে নতুন ধরনের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে বিশ্ববাসীকে জানাল দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় ভাইরোলোজি ল্যাবরেটরিতে নতুন এ ধরনটি নিয়ে গবেষণা চলে। ২০২০ সালের অক্টোবরে তরল বর্জ্যে প্রথম এ ধরনের ভাইরাসের দেখা মেলে। এরপর ২০২০ সালের নভেম্বরে ক্লিনিক্যাল বর্জ্যে এ ভাইরাস পাওয়া যায়। ইসরায়েলি শহর রাহাতের ৫ ভাগ এলাকায় ২০২০ সালের অক্টোবরে তরল বর্জ্যে নতুন এ বৈশিষ্ট্যের করোনার দেখা মেলে। কিন্তু একই বছরের নভেম্বরে ইসরায়েলের নেতানিয়া ও হাইফা শহরের ৯৮ ভাগ এলাকায় এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত দেশটির ১৮১ জন করোনার ইসরায়েলি ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, আরও অনেক বেশি মানুষ এ ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে। তবে এটি করোনার ইউকে ভ্যারিয়েন্টের মতো খুব দ্রুত ছড়ায় না। ফাইজারের টিকা এ ধরনের করোনা প্রতিরোধে কার্যকর বলে গরেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর