মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনায় ভারতে আক্রান্ত লাখ ছাড়াল, চীনেও নতুন করে হানা

প্রতিদিন ডেস্ক

ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারায় এ প্রথমবারের মতো দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। এদিকে যে চীন থেকে করোনা উধাও হয়ে গিয়েছিল সেই চীনেও ফের হানা দিয়েছে এ মহামারী। দেশটিতে করোনা শনাক্তের সংখ্যা গত দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠেছে। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, আনন্দবাজার।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল জানিয়েছে, পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ১ লাখ ৩ হাজার ৫৫৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এতে দেশটিতে মোট করোনাভাইরাস আক্রান্ত ১ কোটি ২৫ লাখ ৮৯ হাজার ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। ভারতে দৈনিক রোগী বৃদ্ধির  এটি নতুন রেকর্ড। দেশটিতে পূর্ববর্তী দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড ছিল ১৭ সেপ্টেম্বর, ওই দিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৭ হাজার ৮৯৪ ছিল। রবিবার আরও ৪৭৮ জন করোনাভাইরাস রোগীর মৃত্যু হওয়ায় দেশটিতে মহামারীতে মৃতের মোট সংখ্যা ১ লাখ ৬৫ হাজার ১০১-এ দাঁড়িয়েছে।

বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর তৃতীয় স্থানে আছে ভারত আর মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও মেক্সিকোর পর চতুর্থ স্থানে ভারত। ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে মহারাষ্ট্র শনাক্ত ২৯ লাখ রোগী নিয়ে শীর্ষে আছে। রবিবার রাজ্যটিতে ৫৭ হাজার ৭৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মুম্বাইয়ে শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ১৬৩ জন।

চীনে ফের সংক্রমণ : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়ছে চীনে। দেশটিতে গত রবিবার এক দিনে ৩২ জন শনাক্ত হয়েছে। গত দুই মাসে দৈনিক সংক্রমণ শনাক্তের হিসাবে এটি সর্বোচ্চ সংখ্যা। নতুন রোগীর মধ্যে স্থানীয় যারা তার সবাই চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমে মিয়ানমার সীমান্তের উনান প্রদেশের রুলি শহরের বাসিন্দা। রুলি শহরে এদিন ১৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়। বাইরে থেকে আসা ব্যক্তি মিলিয়ে চীনে এক দিন মোট ৩২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা এ বছরের ৩১ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ। এ অবস্থায় রুলির শহর কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। সেখানে ব্যাপকহারে করোনা পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে রুলি শহরে করোনা সংক্রমিত শনাক্তের পর শহরটিতে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, রুলি শহরে শনাক্ত রোগীদের দেহের করোনাভাইরাসের জিনগত বিশ্লেষণ করে ১১ জনের দেহে পাওয়া ভাইরাসের নমুনার সঙ্গে মিয়ানমারের ভাইরাসের মিল পাওয়া গেছে। মিয়ানমার থেকে উনান প্রদেশে প্রবেশের অন্যতম পথ রুলি শহর।

মার্কিন তথ্য : বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ উঠতে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতিতে আমেরিকার সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ গবেষণা ও নীতি কেন্দ্রের ডিরেক্টর মাইকেল ওস্টারহোম জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি হতে চলেছে। আমেরিকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ‘মার্কিন মুলুকে এখন কেবল সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। আগামী দিনে আরও দ্রুতগতিতে তা বাড়তে চলেছে।’ আমেরিকার প্রথম সারির মহামারী বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্টনি ফাউসি শনিবার সবাইকে সতর্ক করে জানান, সাবধানতা না মেনে চললে নতুন ওয়েভের কবলে পড়বে দেশ? মহামারী রুখতে টিকাকরণ অত্যন্ত জরুরি।

সর্বশেষ খবর