বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

জামিন পেলেন লিটন সিকদার, বের হলেন লিটন ফরাজী

শরীয়তপুর কারাগার

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

লিটন সিকদার সেজে কারাগার থেকে বেরিয়ে গেলেন লিটন ফরাজী। গত রবিবার ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় শরীয়তপুর কারাগারে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ‘প্রতারণা করে পালিয়ে যাওয়া’ আসামি লিটন ফরাজীকে খুঁজে পায়নি কারা কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, আদালত থেকে জামিন পান লিটন সিকদার। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষকে জামিনের কাগজপত্র দেখিয়ে বের হন লিটন ফরাজী। এখন এই আসামিকে ঢাকা, শরীয়তপুর ও বরিশালে খুঁজছেন কারা কর্মকর্তারা। সোমবার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া শরীয়তপুরের জেল সুপার বিষয়টি গতকাল কারা মহাপরিদর্শককে জানান। গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি।

বরিশাল ডিআইজি প্রিজন মো. টিপু সুলতান বিষয়টি তদন্ত করছেন বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাখাওয়াত হোসেন। শরীয়তপুর কারাগারের জেলার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল ইসলামের পালং মডেল থানায় করা জিডির আবেদনে বলা হয়েছে, ‘৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় তিনি দুজন আসামিকে বিধিমোতাবেক মুক্তি দেন। কিন্তু দাফতরিক অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারণে লিটন সিকদার সেজে প্রতারণা করে কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছেন লিটন ফরাজী।’ শরীয়তপুর কারাগার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লিটন ফরাজীর বাড়ি বরিশালের উজিরপুর। ঢাকার বাসা বাসাবোতে। তার নামে তিনটি মামলা রয়েছে। আর লিটন সিকদারের বাড়ি শরীয়তপুরে। শরীয়তপুর কারাগারের জেল সুপার গোলাম হোসেন সোমবার কারা মহাপরিদর্শককে একটি চিঠি পাঠান। সেখানে বিষয়টিকে জামিনে ভুল মুক্তি বলে উল্লেখ করা হয়। চিঠিতে জানানো হয়, লিটন সিকদারের (বাবা আনোয়ার হোসেন সিকদার) পরিবর্তে হাজতি লিটন ফরাজী (বাবা আবদুর রব ফরাজী) শরীয়তপুর কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় জেলার ও ডেপুটি জেলারের বিরুদ্ধে কারা বিধিমোতাবেক লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। জেলার আমিরুল ইসলামের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কারাগার কর্তৃপক্ষের ভুলে এক আসামির পরিবর্তে অন্য আসামি জামিনে বের হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর