শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

বায়তুল মোকাররমে সতর্ক ছিল পুলিশ

তবু সাংবাদিকদের ওপর চড়াও

নিজস্ব প্রতিবেদক

বায়তুল মোকাররমে সতর্ক ছিল পুলিশ

হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামী দলগুলোর পূর্বঘোষিত কর্মসূচি না থাকলেও গতকাল সকাল থেকেই বায়তুল মোকাররম এলাকায় সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামী দলগুলোর পূর্বঘোষিত কর্মসূচি না থাকলেও বায়তুল মোকাররম এলাকায় গতকাল সকাল থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ। জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিদের একাংশ মসজিদ থেকে বেরিয়ে গেলেও আরেকটি অংশ উত্তর গেটে অবস্থান নেয়। এ সময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হন সেখানে অবস্থানকারী মুসল্লিরা। সরেজমিনে দেখা যায়, জুমার নামাজ শেষে মোনাজাতের পর মুসল্লিদের অনেকেই মসজিদ থেকে বের হয়ে যান। তবে দেড় থেকে ২০০ মুসল্লি উত্তর ফটকে সিঁড়ির ওপর অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশের অবস্থান ছিল মসজিদের উত্তর ফটকসংলগ্ন সড়কে।

মুসল্লিরা স্লোগান না দিলেও কিছু সময় সেখানে তাদের অবস্থান করার কারণে সাংবাদিকদের অনেকেই  ছবি তোলেন এবং ভিডিও করতে থাকেন। এ সময় মুসল্লিরা সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে ছবি ও ভিডিও করার কারণ জানতে চান। তখন সাংবাদিকদের কেউ কেউ পেশাগত কারণে ছবি তোলার বিষয়টি উল্লেখ করলে মুসল্লিরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

এ সময় মুসল্লিদের অনেকেই সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ক্যামেরা দিয়ে নজরদারির কারণে তারা ঠিকমতো নামাজ পড়তে পারেননি। এ সময় বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের অনেকে দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান ও রিপোর্টারকে খুঁজতে থাকেন।

এদিকে সকাল ১০টা থেকেই পুরানা পল্টন মোড়, জিরো পয়েন্ট, দৈনিক বাংলা মোড়, বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন। পুলিশের কঠোর অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিল জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এর আগেও পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছাড়াই জুমার নামাজ শেষে কর্মসূচির নামে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন হেফাজতকর্মীরা। এ জন্য আজও সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় গত ২৬ মার্চ মুসল্লিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরদিন সারা দেশে হরতাল ঘোষণা করলে মসজিদের উত্তর গেটে হেফাজত কর্মীরা অবস্থা নেন।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুমার নামাজ আদায় : জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুমার নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে। গতকাল মুসল্লি উপস্থিতি ছিল বেশ কম। ফলে অন্যান্য সময়ের তুলনায় ফাঁকা ছিল বায়তুল মোকাররম। দেখা যায়, একটির পর একটি কাতার ছেড়ে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করছেন। এ ছাড়া বেশিভাগ কাতারেই দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হচ্ছে। অজুখানাসহ বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ছিল। পাশাপাশি আগত মুসল্লিদের অধিকাংশই মাস্ক পরে মসজিদে আসেন। অনেকের হাতে ছিল জায়নামাজ। বুধবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের সব জুমা ও পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনার আগে-পরে কিছু বিষয়ে নিরুৎসাহিত করতে শর্ত বেঁধে দিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া জুমা ও অন্যান্য ওয়াক্তের নামাজ এবং প্রার্থনার আগে-পরে মসজিদ ও উপাসনালয়ে কোনো রকম সভা-সমাবেশ করা যাবে না। মসজিদে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আসন্ন রমজানে তারাবির নামাজ আদায় করতে হবে বলে জানানো হয় ওই নির্দেশনায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর