মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
মামুনুল হকের পক্ষে-বিপক্ষে মন্তব্য

কুষ্টিয়ায় দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ভাঙচুর লুট আহত ২৫

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় ফেসবুকে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িতে। গতকাল সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার জিয়ারখি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।

এদিকে এ ঘটনায় একই দিন বিকালে দুই পক্ষ কুষ্টিয়া সদর থানায় আলাদা আলাদা মামলা করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক ও সাবেক সভাপতি আহসান সরদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই মাঝে আজিজুল হকের সমর্থক জিয়ারখি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। প্রতিপক্ষ আহসান সরদারের কয়েকজন ওই পোস্টে মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে কমেন্ট করেন। তারা শরীফুল ইসলামকে নরেন্দ্র মোদির সন্তান বলে কটূক্তি করেন। এ ঘটনার জের ধরে গতকাল সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। উভয়পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। এদের মধ্যে সাইদুল (৪০) নামে একজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত আরও চারজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক জানান, ‘আহসান সরদারের লোকজন হেফাজত নেতা মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে আমার লোকদের ওপর হামলা চালায়।’ অপরদিকে আহসান সরদারের দাবি তাদের লোকদের হেফাজত আখ্যা দিয়ে আজিজুল হকের লোকজন তার লোকদের বাড়িঘরে হামলা করে। এতে তার পক্ষের ১০-১৪ জন আহত হয়েছেন।

কুষ্টিয়া সদর থানার ওসি শওকত কবির বলেন, একটি মামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। এরই মধ্যে একে অপরকে ঘায়েল করতে হেফাজত ইস্যু নিয়ে গুজব ছড়ায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংঘর্ষ বাধে দুই পক্ষের মধ্যে। এ ঘটনায় দুই পক্ষ থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর