শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

ভিক্ষা, ধার অথবা চুরি করে হলেও অক্সিজেন এনে রোগীদের দিন

দিল্লি হাই কোর্টের আদেশ

নয়াদিল্লি প্রতিনিধি

ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা এক দিনে রেকর্ড ২০৩৬-এ পৌঁছেছে। দৈনিক ৩ লাখ ১৪ হাজার আক্রান্ত হচ্ছে। দৈনিক আক্রান্তের দিক থেকে এই সংখ্যা বিশ্বে প্রথম। পরিস্থিতি এতই সংকটময় যে, বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত দিল্লি হাই কোর্টে ম্যারাথন শুনানি হয়েছে। ভারত সরকারের ওপর রুষ্ট হয়ে বিচারপতি বলেন, ‘আপনারা এত শীতল হন কী করে! অক্সিজেনের অভাবে রোগী মারা যাচ্ছে। যেমন করেই হোক রোগীদের অক্সিজেন দিন। প্রয়োজনে ভিক্ষা করুন, ধার করুন, চুরি করুন। তবু অক্সিজেন এনে রোগীদের দিতেই হবে।’

দ্বিতীয় দফায় কভিডে আক্রান্ত রোগীদের দেহে অক্সিজেন মাত্রা কম হয়ে যায়। তাই রোগীদের অক্সিজেন প্রয়োজন। কিন্তু হাসপাতালের শয্যা সংখ্যার অপ্রতুলতার সঙ্গে অক্সিজেনের অভাব প্রবল। ভারতের বিরোধী কংগ্রেস দলের নেতা রাহুল গান্ধী যিনি নিজেই কভিড আক্রান্ত, লাগাতার টুইট করে ভারত সরকারের সমালোচনা করছেন। বলছেন- ফাঁকা ভাষণে কোনো কাজ হবে না। অপ্রয়োজনীয় উৎসবে মেতে রয়েছে সরকার। কোনো পরিকাঠামো তৈরি করেনি। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন- ‘কেন সব রাজনৈতিক দলের বৈঠক ডেকে আলোচনা

করছেন না মোদি?’ দুইবার ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং করোনায় আক্রান্ত। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি লিখে পরামর্শ দিয়েছিলেন কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন তা উপেক্ষা করেন। ইতিমধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউট তাদের ভ্যাকসিনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন তারা রাজ্য সরকারকে প্রতি ডোজ ৪০০ রুপি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে ৬০০ রুপিতে দেবে। যা আগে ছিল ২৫০ রুপি। ভারতে কভিড ভ্যাকসিনের চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন এখনো হয়নি। যদিও প্রধানমন্ত্রী মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণে ঘোষণা করেন সমস্যা হবে না। তিনি এও বলেন, ‘লকডাউন সমস্যার সমাধান নয়।’

সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির ছেলের মৃত্যু : সিপিআইএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বড় ছেলে সাংবাদিক আশীষ ইয়েচুরি বৃহস্পতিবার সকালে গুরগায়ের একটি বেসরকারি হাসপাতাল (মেদান্ত হাসপাতাল)-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আগামী ৯ জুন ৩৫ বছর বয়সে পড়তেন আশীষ। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সীতারাম ইয়েচুরি টুইট বার্তায় বলেন, যারা আমাদের আশা জুগিয়েছিল এবং যারা আমার ছেলের চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন যেমন ডাক্তার, নার্স, সামনের সারিতে থাকা স্বাস্থ্য কর্মীরা, স্যানিটেশন কর্মীরা সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই।’

সর্বশেষ খবর