লকডাউন কেন্দ্র করে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ব্যাপক তান্ডবের ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত ১১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তার মধ্যে সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। এ ছাড়া কয়েক দফায় আটক বেশ কয়েকজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। মোট পাঁচ মামলায় ২৬১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ হাজার জনকে আসামি করা হয়। যার বেশির ভাগই এখন পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কে এলাকাছাড়া। জানা গেছে, সালথা উপজেলা পরিষদ, থানা, ভূমি অফিস, মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে হামলার সঙ্গে জড়িতরাই শুধু নন, হামলার সঙ্গে জড়িত নন এমন অনেকেও হয়রানি ও আটকের ভয়ে এলাকাছাড়া। তান্ডবের পর এখনো স্বাভাবিক হয়নি উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম। বিভিন্ন কার্যালয়ে আগুন দেওয়ায় জরুরি কাগজপত্র, কম্পিউটারসহ আসবাবপত্র পুড়ে যাওয়ায় কর্মকান্ড বিঘ্নিত হচ্ছে। ৫ এপ্রিল হামলার পর থেকে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের আটক থেকে বাঁচতে সালথা উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের কমপক্ষে ৩০ গ্রামের কয়েক হাজার পুরুষ বর্তমানে এলাকাছাড়া। গ্রামগুলোয নারী ও শিশু ছাড়া কাউকে দেখা যাচ্ছে না। গ্রামের পর গ্রাম পুরুষশূন্য হওয়ায় কয়েক হাজার হেক্টর জমির পাট পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হতে বসেছে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। পুলিশ অযথা কাউকে হয়রানি করছে না। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই জড়িতদের আটক করা হচ্ছে।
