সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

দ্বিতীয় ডোজের টিকা যথাসময়ে জনগণ পাবে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জনগণকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখার আহ্্বান জানিয়ে বলেছেন, প্রথম ডোজের মতো দ্বিতীয় ডোজের টিকাও যথাসময়ে পাওয়া যাবে। গতকাল সকালে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। অনুষ্ঠানে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির পক্ষ থেকে ২ হাজার পরিবারকে খাদ্য ও করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, চলমান লকডাউনের পর  গণপরিবহন চলাচলের সুযোগ দেওয়া হলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে সরকার আবার কঠোর লকডাউন দিতে বাধ্য হবে। তিনি শপিং মল, দোকানপাট ও বাজারগুলোতে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও আহ্্বান জানান। তিনি বলেন, যারা সংশয়বাদী, তারা সবকিছুতেই অনিশ্চয়তা খুঁজে বেড়ান। ছড়িয়ে দেন বিভ্রান্তি। এই বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার বিএনপির নতুন কোনো রোগ নয়। তারা অনেক আগে থেকেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত। তিনি বলেন, পরীক্ষিত ও মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী-দূরদর্শী নেতৃত্বে সংকট মোকাবিলা করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যাবে অদম্য বাংলাদেশ।

বিএনপি নেতারা প্রতিদিনই সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্?গার করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, লকডাউন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব যতটুকু গবেষণা করেছেন, তা বন্ধ করে জনগণকে সচেতন করার জন্য দু-একটি বক্তব্য রাখলে করোনার সংক্রমণ রোধে সামান্যতম হলেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখত।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি প্রথমে বলেছিল, লকডাউন চাই। পরে বলল, লকডাউন সমাধান নয়। আবার বলেছে, লকডাউন পরিকল্পিত নয়। এখন বলছে, লকডাউনের নামে নেতা-কর্মীদের অত্যাচার করছে সরকার। তিনি বলেন, ক্ষণে ক্ষণে অ্যামিবার মতো অবয়ব পরিবর্তন ও ভিন্ন ভিন্ন কথা বলে বিভ্রান্তি তৈরি করা বিএনপির লক্ষ্য। বিএনপির দ্বিচারী রাজনীতিতে জনগণ এখন বিভ্রান্ত হয় না। বরং তারা নিজেরাই বিভ্রান্ত হয় বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ত্রাণ ও নগদ সাহায্য নিয়ে যারা অনিয়ম করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ত্রাণ ও নগদ অর্থ যাতে বেহাতে না যায়, সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে। ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান ও কেন্দ্রীয় সদস্য আবদুল আউয়াল প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর