বুধবার, ৫ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গতানুগতিক বাজেট হলে চলবে না

রাশেদা কে চৌধুরী

ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গতানুগতিক বাজেট হলে চলবে না

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেছেন, করোনার কারণে শিক্ষা ক্ষেত্রে যে ক্ষতি ক্রমাগত হচ্ছে তা চোখে পড়ছে না। অন্য খাতের ক্ষতিগুলো চোখে পড়ছে। শিক্ষার ক্ষতির বিষয়টি দৃশ্যমান নয়, এটি আমাদের উদ্বেগের জায়গা। এ খাতের ক্ষতি পোষানো ভীষণ কঠিন। শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গতানুগতিক বাজেট হলে চলবে না। মহামারীর নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় রেখে এমন একটি বাজেট করতে হবে। আলাপকালে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী আরও বলেন, বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ২০ শতাংশ দেওয়ার দাবি জানাই। মহামারীর কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় যে বাজেট দরকার তা প্রত্যাশা করছি সরকারের কাছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বৃত্তির পরিমাণ বাড়াতে হবে। সব শিক্ষার্থীকে বৃত্তির আওতায় আনতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুপুরের খাবার বিতরণ কর্মসূচি চালু করতে হবে। এটি না হলে প্রায় দেড় বছর ছুটি থাকার পর শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরবে কি না সন্দেহ রয়েছে। বাল্যবিয়ে, শিশুশ্রম, অপুষ্টিসহ নানা ঝুঁকি রয়েছে শিক্ষার্থীদের। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় এনে এদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রণোদনা প্যাকেজ দেখলেও শিক্ষা ক্ষেত্রে সেভাবে চোখে পড়েনি। তিনি আরও বলেন, বিশালসংখ্যক শিক্ষক রয়েছেন যারা সরকারের কাছ থেকে কোনো বেতন-ভাতা না পেয়ে বিপদগ্রস্ত রয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ক্লাস শুরু হলে শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। তাই একটি প্যাকেজের আওতায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানো, শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়ানো এবং শিক্ষার্থীদের সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা সেক্টর যেন বাজেটের ক্ষেত্রে গুরুত্বের বাইরে না যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। শুধু বাজেট বাড়ালে হবে না, বরাদ্দ ব্যবহার এবং ব্যবহারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করাও জরুরি।

সর্বশেষ খবর