বৃহস্পতিবার, ৬ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তিপণ না পেয়ে সাত বছরের শিশু খুন

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

সিদ্ধিরগঞ্জে রিয়াদ (৭) নামে এক শিশুকে অপহরণের পর মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসামির দেওয়া তথ্যমতে গতকাল ভোরে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি তালতলা মাদবর বাজারসংলগ্ন বিলের ডোবা থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ সুজন (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। সুজন নিহত রিয়াদের দূর সম্পর্কের খালু। তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার মিয়াপাড়া পূর্ব কমলয় গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক শওকত জামিল বলেন, ‘২৮ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় শিশু রিয়াদের বাবা রাজু বাদী হয়ে একটি নিখোঁজের ডায়েরি করেন। ২৪ এপ্রিল ইফতারের পর সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী সোনামিয়া বাজার এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় রিয়াদ। এরই মধ্যে অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর থেকে রিয়াদের বাবার মোবাইল নম্বরে ছেলেকে ফিরে পেতে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। সেই মোবাইলের কললিস্টের সূত্র ধরে আমরা আজ (বুধবার) সিদ্ধিরগঞ্জের চরশিমুলপাড়া থেকে অপহরণকারী সুজনকে আটক করি। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জালকুড়ির তালতলা বিলের একটি ডোবা থেকে রিয়াদের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করি। রিয়াদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার খোলাহাটি ইউনিয়নের মিয়াপাড়া গ্রামে।’ রিয়াদের বাবা রাজু বলেন, ‘আমার ও সুজনের বাড়ি গাইবান্ধায়। নিখোঁজের দিন বিকালে সুজন আমার দুই ছেলেকে দোকান থেকে কেক কিনে দেওয়ার জন্য নিয়ে যায়। পরে দুই ছেলে কেক নিয়ে বাসায় আসে এবং বড় ছেলে রিয়াদ আবার বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ থাকে। আমরা তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করি। আমাদের সঙ্গে সুজনও বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে। সুজন মাইক ভাড়া করে মাইকিংও করে। পরে অপরিচিত ব্যক্তির মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে আমার কাছে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। কণ্ঠ শুনেই সুজনকে আমার সন্দেহ হয়। আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাই।’

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী বলেন, ‘রিয়াদ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আমরা একজনকে আটক করেছি। প্রাথমিকভাবে এ হত্যায় আরও একজনের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছি। তবে তদন্তের কারণে এখনই তার নাম বলতে পারছি না।’

সর্বশেষ খবর