রবিবার, ৯ মে, ২০২১ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ ঢুকছে বায়ুমণ্ডলে

প্রতিদিন ডেস্ক

মহাকাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা একটি চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ আজ শেষ রাতে তীব্র গতিতে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করার কথা। এরপর রকেটের এ খন্ডটি হয় আছড়ে পড়বে পৃথিবীর কোনো একটি জায়গায়, নয়তো তার আগেই সেটি পুড়ে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। সূত্র : স্পেস ডট কম, এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স।

খবরে বলা হয়, ১৮ টন ওজনের এই রকেটের টুকরোটি হতে চলেছে গত কয়েক দশকের মধ্যে বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করা সবচেয়ে ভারী মহাকাশ বর্জ্য। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ধ্বংসাবশেষের বেশিরভাগ অংশই বায়ুমন্ডলে প্রবেশের পর পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এবং যেটুকু পৃথিবীতে পড়বে, তাতেও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা একেবারেই কম। অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র জানায়, তারা চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষের গতিপথ পর্যবেক্ষণ করছে। তবে সেটিকে গুলি করে আকাশেই ধ্বংস করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।

গত শুক্রবার এক টুইটে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারোস্পেস করপোরেশন জানিয়েছে, তাদেও সেন্টার ফর অরবিটাল রিএন্ট্রি এবং ডেব্রিস স্টাডিজ (সিওআরডিএস)-এর সবশেষ অনুমান অনুসারে আর রবিবার গ্রিনিচ মান টাইম ০৪:১৯ মিনিটের (বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ১৯ মিনিট) আট ঘণ্টা আগে বা আট ঘণ্টা পরে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করবে চীনের ‘লং মার্চ ৫বি’ রকেটের ধ্বংসাবশেষ। সিওআরডিএস’র অনুমানে রকেটটি পুনঃপ্রবেশের সম্ভাব্য অঞ্চল হিসেবে নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডের আশপাশের কথা বলা হয়েছে। অবশ্য পৃথিবীতে প্রবেশপথের যেকোনো জায়গায় সেটি আছড়ে পড়তে পারে বলেও জানিয়েছে তারা। হার্ভার্ড-ভিত্তিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী জনাথন ম্যাকডোয়েল রয়টার্সকে বলেছেন, পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশের পর রকেটের ধ্বংসাবশেষের পুরোটা পুড়ে না গিয়ে কিছু অংশ ভূমিতে আঘাত করতে পারে। এমনকি সেটি আবাসিক এলাকায়ও পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর আগে বিশেষজ্ঞরা জানান, রকেটটি বায়ুমন্ডলে পতিত হওয়ার সময়েই টুকরো টুকরো হওয়া শুরু করবে এবং অধিকাংশই আগুনে পুড়ে যাবে। পুড়ে যাওয়ার পর বাকি অংশগুলোই পৃথিবীর ভূমিতে পড়বে। পৃথিবীর ৭০ ভাগই সাগর হওয়ায় সাগরে পড়ার সম্ভাবনাই বেশি, তবে অবশ্যই এটি নিশ্চিত নয়। উল্লেখ্য, মহাকাশে নতুন একটি স্পেস স্টেশন বানাচ্ছে চীন। এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ তিয়ানহে মডিউল নিয়ে গত ২৯ এপ্রিল হাইনান দ্বীপের ওয়েনচ্যাং স্পেস সেন্টার থেকে রওয়ানা দেয় ‘লং মার্চ ৫বি’ নামের এই রকেট। মহাকাশ স্টেশন তৈরির জন্য কক্ষপথে ১১টি মিশন পরিচালনা করবে চীন। এর প্রথমটিতেই তিয়ানহে মডিউল পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ভূপৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক ১৬০ থেকে ৩৭৫ কিলোমিটার ওপরে গিয়েই রকেটটির প্রধান অংশ (সেগমেন্ট) দ্রুত নিচের দিকে নেমে আসতে শুরু করে।

সর্বশেষ খবর