বুধবার, ১২ মে, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

হাঁড়িভাঙা আম পাওয়া যাবে জুনের তৃতীয় সপ্তাহে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

হাঁড়িভাঙা আম পাওয়া যাবে জুনের তৃতীয় সপ্তাহে

সুস্বাদের কারণে হাঁড়িভাঙা আম সারা দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দেশের অন্যান্য স্থানের আম শেষ হয়ে যাওয়ার পরই এই আম বাজারে পাওয়া যায়। কৃষি অফিসের মতে হাঁড়িভাঙা আম গাছ থেকে পারা শুরু হবে জুনের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে। তবে প্রচ- গরম কিংবা আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে নির্ধারিত সময়ের সপ্তাহখানেক আগেও বাণিজ্যিকভাবে এই আম বিক্রি করতে পারবে আম চাষিরা। ঝড় বাদলে কিছুটা ক্ষতি হলেও ফলন ভালো হয়েছে। হাঁড়িভাঙা আম পাওয়া যাবে জুনের তৃতীয় সপ্তাহে।

রংপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার রংপুর জেলায় ৩ হাজার ৫ হেক্টরের বেশি জমিতে আমের ফলন হয়েছে। এর মধ্যে হাঁড়িভাঙার ফলন হয়েছে ১ হাজার ৪৫০ হেক্টরে। গত বছর প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছিল ৯ দশমিক ৪ মেট্রিক টন। এবার আশা করা হচ্ছে গত বছরের চেয়ে ফলন বেশি হবে। সেই হিসেবে শুধু হাঁড়িভাঙা উৎপাদন হতে পারে ১৫ হাজার মেট্রিক টনের ওপর। মৌসুমের শুরুতে দাম কিছুটা কম থাকলে প্রতি কেজি হাঁড়িভাঙা আম ৮০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়। হাঁড়িভাঙা আমের ফলন বেশি হলেও ফজলি, কেরোয়া, এছাহাক তেলি, ছাইবুদ্দিন, আশ্বিনী, সাদা নেংড়া, কালা নেংড়া, কলিকাতা নেংড়া, মিশ্রি ভোগ, গোপাল ভোগ, আম্রপলি, সাদা রচি, চোচা, আঁটিসহ হরেক প্রজাতির আম রয়েছে। তবে হাঁড়িভাঙা আমের চাহিদাই বেশি। একটি হাঁড়িভাঙা আমের ওজন ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর খামারবাড়ি ঢাকার ডিএই অতিরিক্ত উপপরিচালক আবু সায়েম জানান, দেশের অন্যান্য স্থানের আম শেষ হয়ে যাওয়ার পর হাঁড়িভাঙা আম বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসে। জুনের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এই আম বাজারে আসবে। গৌরমুখী ও বারি-৪ জাতের আম আরও পরে পাকে। তবে এই আম বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন তেমনটা শুরু হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর