কুমিল্লার মুরাদনগরে সোহাগ (১৭) নামের এক কিশোরকে গাছের খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। সোহাগ (১৭) উপজেলার দক্ষিণ নোয়াগাঁও গ্রামের মুন্সীবাড়ির আল-আমীনের ছেলে। অভিযুক্তরা হলো একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আশিক, মতিন মোল্লার ছেলে রুবেল ও আছমত আলীর ছেলে কামাল। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে নোয়াগাঁও গ্রামের কামারচর মোড় এলাকায় সজীবের দোকান থেকে একটি মোবাইল ফোন ও নগদ কিছু টাকা চুরি হয়। এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পরদিন সকাল ৬টায় আশিক, রুবেল ও কামালের নেতৃত্বে একদল যুবক সোহাগকে ধরে মকবুল মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। সোহাগকে সেখানে গাছের খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হয়। পরে একই এলাকার ধনু মিয়ার ছেলে নজরুলের (১৫) কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়। এ অবস্থায় নির্যাতনের ঘটনা কাউকে না বলা ও কিছুদিন গ্রাম ছেড়ে বাইরে থাকার হুমকি দিয়ে সোহাগকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সোহাগের বাবা আল-আমীন বলেন, আমি একজন প্রতিবন্ধী। ভিক্ষা করে সংসার চালাই। আমি গরিব বলেই আজ আমার ছেলে চুরি না করেও চোর হতে হয়েছে। আমার ছেলেকে আশিক, রুবেল, মকবুল, হোসেন, হান্নান, কামালসহ আরও কয়েকজন বেঁধে রেখে সারা দিন মারধর করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। অন্যদিকে অভিযুক্ত মকবুল হোসেন তার বাড়িতে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, যার দোকানে চুরি হয়েছে তারাই সোহাগকে আটক করে। এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি অবহিত নই। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
