মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

যোগাযোগ ও পর্যটন খাতকে প্রাধান্য দিতে হবে

-এ টি এম শোয়েব

যোগাযোগ ও পর্যটন খাতকে প্রাধান্য দিতে হবে

প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে রয়েছে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা। কিন্তু যথাযথ উদ্যোগের অভাবে এখানকার অর্থনীতি কেবল আটকে আছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর। অথচ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির মাধ্যমে এ অঞ্চলের অর্থনীতির ব্যাপক পরিবর্তন সম্ভব। তাই আগামী বাজেটে সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পর্যটন খাতকে প্রাধান্য দিয়ে বিশেষ বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন। আগামী বাজেট ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেছেন সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এ টি এম শোয়েব। সিলেটের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের এই নেতা বলেন, সিলেট বিভাগে উন্নত মানের বালু, পাথর, চুনাপাথর ও গ্যাস রয়েছে। এখানে চাহিদার প্রায় তিন গুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। তাই সিলেট অঞ্চলে শিল্প বিকাশের যে সম্ভাবনা ছিল তা কেবল অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য হচ্ছে না। অথচ শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা গেলে এখানে বিপুল পরিমাণ প্রবাসী বিনিয়োগেরও সম্ভাবনা রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। এ টি এম শোয়েব বলেন, সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক চার লেন প্রকল্পের কাজ এখনো দৃশ্যমান হয়নি। হচ্ছে আর হবেতে আটকে আছে এ প্রকল্প। অথচ দেশের বিভিন্ন স্থানে চার লেন, ছয় লেন সড়কের কাজ চলছে দেদারসে। এই মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত হলে সিলেটে শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে সিলেটের সীমান্তবর্তী ভারতের ‘সেভেন সিস্টার’কে কেন্দ্র করে এখানে সরকারি-বেসরকারি বা যৌথ উদ্যোগে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা সম্ভব। তাই আগামী বাজেটে সিলেট-ঢাকা চার লেন মহাসড়ক বাস্তবায়নে বিশেষ বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন। এ ছাড়া সিলেট-আখাউড়া রেললাইন ডাবল লাইনে উন্নীত করার দাবি সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিভিন্ন সময় এই প্রকল্প নিয়ে নানা রকম আশার বাণী শোনা গেলেও এর বাস্তবায়নে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অথচ রেলওয়ের এই সেকশনটি ডাবল লাইন করা গেলে আরও কম সময়ে লোকজন ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে সিলেটে আসতে পারবেন। এটি রেল যোগাযোগের উন্নয়ন শিল্পের পাশাপাশি পর্যটন বিকাশেও ভূমিকা রাখবে। তাই সিলেটের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য সড়ক ও রেলপথের উন্নয়নে বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন চেম্বার সভাপতি। সিলেটের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত পর্যটন উল্লেখ করে চেম্বার সভাপতি এ টি এম শোয়েব বলেন, শুধু পর্যটন খাতের উন্নয়ন করে সিলেটের অর্থনৈতিক চেহারা পরিবর্তন করা সম্ভব। এ জন্য যোগাযোগ, নিরাপত্তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিশেষ প্যাকেজ প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন। এটা করা সম্ভব হলে সিলেটের পর্যটন ঘিরে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানও হবে। আগামী বাজেটে পর্যটন খাতের উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ দেখতে চান সিলেটের মানুষ। করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছেন দাবি করে চেম্বার সভাপতি বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এসব ব্যবসায়ীর জন্য প্রয়োজন অনুদান। করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের যে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, এর সুযোগ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা নিতে পারেননি। তাই প্রণোদনার পরিবর্তে বাজেটে থোক বরাদ্দ হিসেবে অনুদানের ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর