মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকা সম্পন্ন হলে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া সম্পন্ন হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছেলেমেয়েদের টিকা দেওয়া গেলে তাড়াতাড়ি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে।’ গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, করোনা মহামারীর কারণে বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে ১৪ মাস ধরে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। ফলে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত কয়েক কোটি শিক্ষার্থী বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছে। অস্বস্তিত্বে আছেন অভিভাবকরাও।

দুর্নীতি করলে ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা ও মামলা হবে : দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হলে ব্যাংক কর্মকর্তাদের বড় অঙ্কের জরিমানার মুখে পড়তে হবে। একই সঙ্গে দুর্নীতিবাজ ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও দায়ের হবে। এরকম বিধান রেখে ‘ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০২১’-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ব্যাংক কোম্পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত নতুন এ ধারাটি সংযোজন করা হচ্ছে। একে ব্যাংক কোম্পানির সংকটাপন্ন অবস্থার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি আছে। খসড়া আইনে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যদি ব্যাংকের পরিচালকরা বা যেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকবে তাকে বড় জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি ফৌজদারি মামলাও চলবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কারও ১ কোটি টাকা জরিমানা হলে সে জরিমানা দিয়ে বেঁচে যেতে পারে, সে যদি ১০ বা ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন, সেজন্য পেনাল কোডের আইনও তার জন্য প্রযোজ্য হবে। তার যে জরিমানা হলো, সেটা ফৌজধারি কার্যবিধির জন্য কোনো বাধা হবে না। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী মাথাপিছু আয় গত অর্থ বছরের চেয়ে ১৬৩ ডলার বেড়েছে। এ বছর মাথাপিছু আয় হয়েছে ২ হাজার ২২৭ ডলার, যা গত অর্থবছর ছিল ২ হাজার ৬৪ ডলার। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরেছেন। সচিব আরও জানান, আজকে (গতকাল সোমবার) প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৪০ বছর ছিল। সেজন্য ক্যাবিনেট থেকে তাকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে তার কার্যক্রমের জন্য।

এসএসএফ আইনে জাতির পিতার পরিবার : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের দৈহিক নিরাপত্তার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন-২০২১’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে গতকালের মন্ত্রিসভা বৈঠকে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সামরিক শাসনের সময় জারিকৃত অধ্যাদেশের মাধ্যমে উল্লিখিত বাহিনীটি চলছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় এটিকে নতুন করে আইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিদ্যমান অধ্যাদেশের বিষয়গুলোকে প্রস্তাবিত আইনে রাখা হয়েছে। নতুন করে যুক্ত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্য ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দৈহিক নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়টি। জাতির পিতার পরিবারের সদস্য বলতে জাতির পিতার দুই মেয়ে ও তাদের সন্তান। সন্তানদের স্বামী ও স্ত্রী এবং তাদের সন্তানরা। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ এ যাই থাকুক না কেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইনকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। সরকারি গেজেট দিয়ে ঘোষিত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরাও এই আইনের অধীনে নিরাপত্তা পাবেন।

এ ছাড়া গতকালের মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর আইন-২০২১’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে প্রণীত স্বর্ণ নীতিমালার সংশোধনও অনুমোদন পেয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, নীতিমালাটি সংশোধন হলে দেশের বাইরে থেকে শুধু স্বর্ণ নয়, ডায়মন্ড, প্লাটিনামের মতো মূল্যবান পদার্থের কাঁচামালও আমদানি করা যাবে। এতে দেশে এ সংক্রান্ত শিল্প স্থাপন হলে কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হবে বলে মনে করছে সরকার।

সর্বশেষ খবর