শুক্রবার, ২১ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

বজ্রপাতে দুই জেলায় নারী শিশুসহ ৯ জনের মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও জামালপুর প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও জামালপুরে বজ্রপাতে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও নাচোলে নারী-শিশুসহ তিনজন এবং জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ছয়জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত চারজন। মৃতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের গোয়াবাড়ি চাঁদপুর গ্রামের আবু তালেবের স্ত্রী মোসা. রহিমা খাতুন (৩৮) ও একই ইউনিয়নের উপরটোলা গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে মো. জালাল উদ্দিন (৩৮) এবং নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের আঝৈর গ্রামের ওবায়দুর রহমানের মেয়ে মোসা. মারুফা খাতুন (১১), জামালপুর জেলার ইসলামপুরের পাথর্শী ইউনিয়নের গামাড়িয়া গ্রামের হাসান সেখের ছেলে কালাম সেখ (৫০), মহিষবাথান গ্রামের বারু সেখের ছেলে শাহজাহান (৩০), জারুলতলা গ্রামের জব্বার খানের ছেলে এনামুল হক (২৮), গাইবান্ধা ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামের আখের মাহমুদের ছেলে মফিজল হক (৪০), পলবান্ধা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাটিকামারী গ্রামের মৃত চান্দু সেখের ছেলে জবেদ আলী ওরফে হেক্কু এবং সাপধরী ইউনিয়নের প্রজাপতি গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার ছেলে বেলাল হোসেন (৩৫)। গতকাল বিকালে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, ঝড় শুরু হওয়ার সময় বিকাল সোয়া ৩টার দিকে রহিমা খাতুন আম কুড়াতে গেলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং একই সময় জালাল উদ্দিন বিল থেকে ধান কেটে বাড়ি ফেরার পথেই বজ্রপাত হলে তিনিও ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। অপরদিকে নাচোল ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মৌদুদ আলম খাঁ জানান, নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের আঝৈর     গ্রামের মারুফা বেলা আড়াইটার দিকে ঝড়ের সময় আম কুড়াতে গেলে বজ্রপাতে তিনি মারা যান। ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজেদুর রহমান জানান, ধান কাটার সময় বৃষ্টি শুরু হলে পাথর্শী ইউনিয়নের হলহলিয়া ব্রিজের নিচে আশ্রয় নেন ধান কাটা শ্রমিকরা। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই কালাম সেখ, শাহজাহান ও এনামুল হকের মৃত্যু হয়। এ সময় তিনজন গুরুতর আহত হলে তাদের ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অপরদিকে গাইবান্ধা ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামে মাঠে শুকাতে দেওয়া খড় আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় মফিজল হকের। এ সময় পলবান্ধা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাটিকামারী গ্রামে বাড়ির উঠানে শুকাতে দেওয়া খড় তুলতে গিয়ে জবেদ আলীর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে সাপধরী ইউনিয়নের প্রজাপতি গ্রামে মাঠে বাদাম তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান বেলাল হোসেন। এ সময় বজ্রপাতে আহতরা হলেন- পাথর্শী ইউনিয়নের জারুলতলা গ্রামের পানফুল বেগম (৫৮), সাপধরী ইউনিয়নের প্রজাপতি গ্রামের ইনসাফ আলী (৪৫), বেলাগাছা ইউনিয়নের ধনতলা গ্রামের রাজা মিয়া (৩৫) ও বেলাগাছা গ্রামের হামিদ (৩৫)।

সর্বশেষ খবর