বগুড়ায় কৃষি যন্ত্রাংশ তৈরিতে অসংখ্য কলকারখানা গড়ে উঠছে। এই কলকারাখানাগুলো উৎপাদনমুখী হলে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক গতি বাড়বে। তাই আসছে বাজেটে বগুড়ার কৃষি, কৃষক, কৃষি যন্ত্রাংশ তৈরিতে বাজেটে বরাদ্দ থাকতে হবে। বগুড়ার নদীপথ-রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করে বিমানবন্দর চালু করতে হবে। বগুড়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুর রহমান দুলু বগুড়ার উন্নয়নে বাজেট দাবি করেন। তিনি বলেন, বগুড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম স্থান। এখানে রয়েছে প্রচুর উদ্যোক্তা। সম্প্রতি অনেক উচ্চশিক্ষিতও ব্যবসায়-বাণিজ্যে এগিয়ে আসছেন। তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। তরুণ উদ্যোক্তারা সুযোগ পেলে ব্যবসা এগিয়ে যাবে। দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ আছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফল। এই সফলতার হাত ধরে আসছে বাজেটে সফলতা দেখাতে হবে। এই জেলার কিছু সমস্যা দীর্ঘদিনের। বিমানবন্দর চালু করা, জেলার করতোয়া নদীকে ড্রেজিং করে দুই পাড় সংস্কারের মাধ্যমে যানজট এড়াতে সড়ক নির্মাণ করা। শহরের মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রে যানজটের ভোগান্তি কমাতে ওভার ব্রিজ নির্মাণ করা। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি স্কুল নির্মাণ করা। বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা অতিজরুরি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা। কৃষিকে আরও আধুনিকায়ন করা। যদিও সরকার এসব নিয়ে ভাবছে। তারপরও কৃষির উন্নয়নে আরও কিছু কর্মসূচি নিতে হবে। যেন ফলন বৃদ্ধি পায়। এ জন্য বাজেটে বরাদ্দ প্রয়োজন। বাজেটে নগর উন্নয়ন, কৃষি, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বরাদ্দ থাকতে হবে। যে কোনো বাজেটে ব্যবসায়ীদের সুযোগ থাকে। নাগরিকদের জন্যও সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। বেকারত্ব, দারিদ্র্য যেন হ্রাস পায় সেটি বাজেটে থাকতে হবে। উন্নয়নবান্ধব সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া উন্নয়নমূলক বাজেট। যদিও করোনাকালের বাজেটে কী থাকছে তা একটি বড় প্রশ্ন। শুধুমাত্র করোনার কারণে স্বাস্থ্য বিভাগেই সব উন্নয়ন যেন না হয়। মৌলিক অধিকারের অন্য বিষয়গুলোও বাজেটে থাকবে বলে বিশ্বাস করি।