কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোয় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। এ অবস্থায় উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবিরে গতকাল কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি শিবিরকে সবচেয়ে বেশি কঠোর লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। গতকাল সকালে শুরু হওয়া এ লকডাউন ৩১ মে পর্যন্ত থাকবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও চলতি মাসে রোহিঙ্গাদের মাঝে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পর্যন্ত ৯১৩ জন রোহিঙ্গার দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, কক্সবাজার জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টেকনাফ উপজেলায় ২১ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ১১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এ উপজেলায় কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলায় মাইকিং করা হচ্ছে।

কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের প্রধান স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তা ডা. তোহা জানান, এত দিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও চলতি মাসে অবনতি হয়। ১৪ থেকে ২০ মে পর্যন্ত এক সপ্তাহে ১৬৫ জন রোহিঙ্গার দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ২০ মে পর্যন্ত ৪১ হাজার ৪৭৭ জন রোহিঙ্গার নমুনা পরীক্ষায় ৯১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ১২ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আশ্রয় নিয়েছিল ৪ লাখ রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।