শনিবার, ২২ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

৩৩৩-এ কল করে ফাঁসলেন কারখানা ও বাড়ির মালিক

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

জরুরি খাদ্যসহায়তার জন্য ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে সাড়া পাওয়া যায় কি না পরীক্ষা করতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী, চারতলা বাড়ি ও হোসিয়ারি কারখানার মালিক ফরিদ আহমেদ। তিনি ওই নম্বরে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এ সহায়তার যোগ্য না হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে শাস্তি হিসেবে ১০০ গরিব পরিবারকে খাদ্য   সহায়তার রায় দিয়েছে। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার কাশিপুর এলাকার দেওভোগ এলাকার বাসিন্দা ফরিদ আহমেদের কল পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তরা। কিন্তু তারা গিয়ে দেখেন সহায়তা চাওয়া ওই ব্যক্তি একটি হোসিয়ারি কারখানার মালিক, কাশিপুরে একটি চারতলা বাড়ি রয়েছে। তিনি নিজেও একজন ব্যবসায়ী।  এভাবে জরুরি সেবার নম্বরে ফোন করে সরকারের লোকজনকে ‘হয়রানি’ করায় ফরিদ আহমেদ নামের ওই ব্যবসায়ীকে  ভ্রাম্যমাণ আদালত শাস্তি দেয়। এ শাস্তি হলো- ১০০ গরিব পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্য সহায়তা দিতে হবে। প্রত্যেক পরিবারের জন্য প্যাকেটে থাকবে ১০ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি তেল, এক কেজি লবণ, এক কেজি পিঁয়াজ, এক কেজি আলু ও মসলা। সব মিলিয়ে দেড় হাজার কেজির বেশি খাদ্যসামগ্রী গরিবদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে ফরিদ আহমেদকে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ফরিদ আহমেদের ফোন পেয়ে খাদ্যসহায়তা নিয়ে আমি নিজেই গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি ফরিদ আহমেদ চারতলা বাড়ির মালিক। জানতে পারি তার হোসিয়ারি কারখানা রয়েছে। ফরিদ তা স্বীকারও করেন।’ ইউএনও বলেন, ‘ফরিদের দাবি, তিনি এমনিতেই ফোন করেছেন। ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। ৩৩৩ নম্বরের ওই হটলাইন থেকে সাড়া পাওয়া যায় কিনা তা দেখার জন্যই তিনি ফোন করেছিলেন।’

সর্বশেষ খবর