সোমবার, ২৪ মে, ২০২১ ০০:০০ টা
৩৩৩ নম্বরে ফোন

‘ভুল দন্ড’ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন সেই ফরিদ

প্রতিদিন ডেস্ক

জরুরি খাদ্যসহায়তার জন্য ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ফেঁসে যাওয়া ফরিদ আহমেদের পুরো ঘটনা পাল্টে গেছে। অভিযোগ ছিল, তিনি চারতলা বাড়ি ও হোসিয়ারি কারখানার মালিক এবং তিনি গত বৃহস্পতিবার ওই নম্বরে ফোন করে সাহায্য চেয়ে ‘সাড়া পাওয়া যায় কিনা’ পরীক্ষা করেছিলেন। খবর বিডিনিউজ।

আর এ কারণে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিজেরাই সাহায্য নিয়ে সেখানে  পৌঁছে তার বিরুদ্ধে বাড়ি ও কারখানার মালিক হওয়ার অপরাধে আদালত বসিয়ে তাকে শাস্তি হিসেবে পরদিন ১০০ গরিব পরিবারের প্রত্যেককে ১০ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি  তেল, এক কেজি লবণ, এক কেজি পিঁয়াজ, এক কেজি আলু ও মসলা মিলিয়ে দেড় হাজার কেজির বেশি খাদ্যসামগ্রী বিতরণের রায় দেওয়া হয়। রায় অনুযায়ী, শুক্রবার যথারীতি ওই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে অনুসন্ধান করে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ওই দন্ডকে ‘ভুল’ হিসেবে জানতে পারেন এবং ফরিদকে তার খরচ করা সমুদয় টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চারতলা বাড়ি থাকলেও ফরিদ ওই বাড়ির মালিক নন। ওই বাড়ি তার ছয় ভাই ও এক বোনের। তিনি শুধু তিনটি কক্ষের মালিক। এ ছাড়া তিনি হোসিয়ারি কারখানার মালিকও নন। বরং তিনি এক সময় এক হোসিয়ারিতে কাটিং মাস্টার হিসেবে কাজ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি খুবই আর্থিক দুরবস্থার কারণে ৩৩৩ নম্বরে সাহায্য চেয়ে ফোন করেছিলেন। গতকাল জেলা প্রশাসক এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পিন্টু বেপারীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন এবং আগামী বুধবারের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর