ইসলামী বক্তা মুফতি আমীর হামজাকে সাদা পোশাকে প্রশাসনের পরিচয়ে কয়েকজন তার কুষ্টিয়ার গ্রামের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার।

গতকাল বিকাল ৫টায় নিজ সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের দাবিড়াভিটা গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়। তবে কুষ্টিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটকের কথা অস্বীকার করেছেন। মুফতি আমীর হামজার স্ত্রী তামান্না সুলতানা জানান, বিকাল ৫টার দিকে ৬/৭ জন সাদা পায়জামা পাঞ্জাবি পরা ব্যক্তি বাড়িতে প্রবেশ করেন। কোনো কিছু বলার আগেই তারা আমীর হামজাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে কালো একটি হাইয়েস গাড়িতে তোলেন। পরে ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা দ্রুত গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তামান্না সুলতানা জানান, তাদের কাছে রাইফেলসহ অস্ত্রও ছিল। তিনি বলেন, তার স্বামী কোনো  অপরাধী নন। মানুষকে কোরআন হাদিসের পথে আহ্‌বান করেন ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে। তিনি তাকে উদ্ধারে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

আমীর হামজার দাদা জান মুহাম্মদ বলেন, তার নাতি গতকাল দুপুরে গ্রামের বাড়িতে আসেন। মুফতি আমীর হামজা বাংলাদেশ জাতীয় মুফাস্সির পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি আকিজ গ্রুপের ঢাকার মসজিদের খতিবের দায়িত্বও পালন করছেন।

ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মের অপব্যাখ্যা ও দেশজুড়ে উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে আলোচিত ইসলামী বক্তা মুফতি আমীর হামজাকে খুঁজছে পুলিশ- কয়েক দিন আগে জাতীয় দৈনিকগুলোতে এমন খবর প্রকাশ হয়।

কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক ভাষায় ওয়াজকারী মুফতি আমীর হামজা দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া ইসলামী বক্তাদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৯১ সালে কুষ্টিয়া জেলায় তার জন্ম। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া থেকে আল কোরআনের ওপর অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন তিনি। গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর মুফতি আমীর হামজা এক ওয়াজ মাহফিলে বলেন, মুসলমানদের করোনা হবে না। যদি মুসলমানদের করোনা হয় তাহলে কোরআন শরিফ মিথ্যা। মুসলমানদের করোনা হলে যেন তার কাছ থেকে বুঝে নেওয়া হয়। সে সময় তার এই বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে।