পাবনার আকাশে দেখা মিলেছে রক্তিম চাঁদের। চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে। এ সময় চাঁদকে স্বাভাবিকের চেয়ে বড় ও উজ্জ্বল দেখায়। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায়, একে বলে রক্তিম চাঁদ বা সুপার ব্লাড মুন। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সারা দেশের মতো পাবনার আকাশেও মেঘ ছিল। তবে এক ফাঁকে হঠাৎ একঝলক দেখা যায় চাঁদের এই রূপ। বিশ্বজুড়ে গতকাল সন্ধ্যায় চন্দ্রগ্রহণ ও ব্লাড মুন হওয়ার কথা ছিল। সেই মহাজাগতিক ঘটনা ঘটেছে। তবে আকাশ মেঘলা থাকায় রাজধানী থেকে এই রক্তিম চাঁদের দেখা মেলেনি। তবে পাবনার রেলস্টেশন এলাকা থেকে রক্তিম চাঁদের দেখা মিলেছে। গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে পাবনার রেলস্টেশন এলাকায় রক্তিম চাঁদের দেখা মেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এর আগে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণও হয়েছিল। তবে আকাশে মেঘ থাকায় তা খালি চোখে দেখা যায়নি। চন্দ্রগ্রহণের পর চাঁদ লালচে রং ধারণ করে। খুব অল্প সময়ের জন্য রক্তিম চাঁদ পাবনার আকাশে উঁকি দিয়েছিল। আবহাওয়া অধিদফতর গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পূর্ণ এই চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয় ঢাকার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪১ মিনিটে আর শেষ হয় ৭টা ৫১ মিনিটে। এই পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ এবং সুপার মুন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও পূর্ব এশিয়া থেকে পরিষ্কার দেখা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালফি দ্বীপ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে এই চন্দ্রগ্রহণের গতিপথ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ৯ মিনিটে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়। কেন্দ্রীয় চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয় আরও ৯ মিনিট পর। এরপর পূর্ণ গ্রহণ থেকে চাঁদ বেরিয়ে আসে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টা ৫১ মিনিটের দিকে। চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়ায় চাঁদ ধীরে ধীরে ঢেকে যায়। এ সময় চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে। এ সময় চাঁদকে স্বাভাবিকের চেয়ে বড় ও উজ্জ্বল দেখায়।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) বলছে, ২০২১ সালের অন্যান্য চন্দ্রগ্রহণের তুলনায় আজকের পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণটিতে পৃথিবীর খুব কাছাকাছি অবস্থানে আসে চাঁদ। এটাকেই সাধারণত সুপার মুন বলা হয়ে থাকে। এ সময় চাঁদের উজ্জ্বলতা ও আকার কেবল বাড়েই না, পাশাপাশি এই সুপার মুন একটা ‘সুপার পাওয়ার’ নিয়ে আসবে যেখানে চাঁদের রং পরিবর্তন হয়ে লালচে দেখায়।