মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

অবাধ ব্যবহারে অপব্যবহার রোধ করা যাচ্ছে না

- মে. জে. মোহাম্মাদ আলী শিকদার (অব.)

অবাধ ব্যবহারে অপব্যবহার রোধ করা যাচ্ছে না

‘সবকিছুরই ভালো ও খারাপ দুই ধরনের ব্যবহার আছে। যেহেতু তরুণরা অবাধে এই অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে এজন্য এর অপব্যবহার রোধ করা যাচ্ছে না। আমাদের সামাজিক নিরাপত্তার জন্য অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীরা যাতে যথেচ্ছ ব্যবহার করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। সাইবার অপরাধীরা আমাদের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের আড়াল যাতে না হতে পারে তা-ও দেখতে হবে। আর যেখানে অ্যাপের অপব্যবহার হবে সেখানে যদি সঠিকভাবে আইনের প্রয়োগ হয় এবং আইনত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাহলে পরিপূর্ণভাবে এই অ্যাপ বন্ধ করা না গেলেও একে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।’ নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ আলী শিকদার (অব.) এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘টিকটকের অপব্যবহার আমাদের সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি হুমকি। একইভাবে এটি জননিরাপত্তার ওপরও হুমকি। এ ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার রোধ করার উপায় আছে, আবার নেইও। টিকটকসহ বিভিন্ন পরিচিত সোশ্যাল অ্যাপের বেশির ভাগই বাইরের দেশের। টিকটিক চীনের তৈরি। চীনের এমন আরও ২০০ অ্যাপ আছে। ভারত-চীনের মধ্যকার বৈরী সম্পর্কের কারণে ভারত চীনা অ্যাপগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। তবে ভারত সামাজিক অবক্ষয় রোধ করার জন্য নয়, তাদের ভূরাজনৈতিক কৌশলগত কারণে এসব অ্যাপ বন্ধ করেছে। বিশ্বব্যাপী সাইবার প্ল্যাটফরম অবাধ। এখানে কোনো বেষ্টনী নেই। গ্লোবাল স্যাটেলাইটে এটি চলে আসে। সুতরাং বাংলাদেশ থেকে একে ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। ফলে এই অ্যাপ বন্ধ রাখা যাবে না।’ মোহাম্মাদ আলী শিকদার আরও বলেন, ‘গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এসব অপরাধীকে নিয়ন্ত্রণে আনতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের যেমন দায়িত্ব আছে একই সঙ্গে সামাজিক সচেতনতাও জরুরি। এর সঙ্গে আরও প্রয়োজন পারিবারিক সচেতনতা।

আর পারিবারিক সচেতনতা জাগ্রত হলে এসব পরিবারের সন্তানরা চরম বিপদে পড়ার আগেই নিজেদের রক্ষা করতে পারবে। যেহেতু এর মাধ্যমে সামাজিক ও জননিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে, এজন্য যার যার অবস্থান থেকে যার যা দায়িত্ব তা পালন করতে হবে।’

সর্বশেষ খবর