মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

সাইবার প্যাট্রলিং বাড়াতে হবে

- মো. মোখলেসুর রহমান

সাইবার প্যাট্রলিং বাড়াতে হবে

‘যারা এই অ্যাপের নেতিবাচক ব্যবহার করছে তাদের পেছনে লাগাতার লেগে থাকতে হবে। আর এটি নজরদারির জন্য ভালো সংগঠন হচ্ছে পুলিশ বাহিনী। অনেকে একে বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ মনে করতে পারেন, কিন্তু আমি বলব যারা এই সোশ্যাল প্ল্যাটফরমে অপরাধ ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে। প্রয়োজনে পুলিশ সদস্যদের আরও বেশি ভার্চুয়াল জগতে ঘোরাফেরা করতে হবে। সাইবার প্যাট্রলিং বাড়াতে হবে। যুবসমাজকে এসব অ্যাপ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। ব্যবহারকারীদের নিজস্ব নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।’ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজি মো. মোখলেসুর রহমান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নতুন প্রযুক্তিকে সব সময় স্বাগত জানাই। আমরা প্রত্যাশা করি নতুন প্রযুক্তি থেকে আরও বেশি সুবিধা আদায় করব এবং এর ফলে জীবন বাঁচানো আরও সহজ হবে। অনলাইনে ফেসবুক, টুইটার, টিকটকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার সবই অ্যাপ। বিশ্বব্যাপী এরই মধ্যে হাজার হাজার অ্যাপ তৈরি হয়েছে। তবে এগুলো নিজে থেকে খারাপ কিছু করে না। মানুষ যখন নেতিবাচক কাজে ব্যবহার করে তখন এগুলো খারাপ হয়ে ওঠে। আর সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে উন্মুক্ত প্ল্যাটফরম। একে ভালো ও খারাপ দুই ভাবেই ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যাপগুলো যাতে কেউ অপব্যবহার না করে সেজন্য এক ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বর্তমান জীবনব্যবস্থায় মানুষ তার অর্ধেক জীবনই ভার্চুয়ালি কাটাচ্ছে। ফলে বাস্তব জীবনের মধ্যে মানুষ যেমন নানা ধরনের অপরাধকর্ম ঘটায়, একইভাবে ভার্চুয়াল জীবনেও একজন আরেকজনকে ক্ষতি করছে, নানা ধরনের অপরাধ ঘটাচ্ছে। এগুলো বন্ধে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে।’ সাবেক এই অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, ‘পাশ্চাত্যের যে দেশগুলো এ অ্যাপগুলো তৈরি করেছে তাদের নাগরিকরা সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারে সে অর্থে ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। হঠাৎ করে এই অ্যাপগুলো পেয়ে দেশের যুবসমাজও যথেচ্ছ ব্যবহার করছে। এতে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছে, অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকান্ডের শিকার হচ্ছে। ফলে আমাদের উচিত হবে একদিকে সচেতনতা তৈরি, অন্যদিকে পুলিশের সাইবার প্যাট্রলিং বৃদ্ধি করা। আর ল্যাবরেটরি সুবিধা ও ফরেনসিকের বিষয়গুলোর ওপর আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। দেশে যে হারে সাইবার অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে বিষয়টি বিবেচনায় এনে পুলিশ বাহিনীকে এগুলো নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি সময় দিতে হবে। এজন্য আরও বেশি লোকবল নিয়োগ করতে হবে। আর তা না হলে আমাদের যুবসমাজ ও সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

সর্বশেষ খবর