মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

নিতে হবে মনিটরিংয়ের আওতায়

-জিনাত হুদা

নিতে হবে মনিটরিংয়ের আওতায়

‘টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহারের বিষয়গুলো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ বা মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে যেতে হবে। তবে নিয়ন্ত্রণ বলা হলে আবার হইচই শুরু হবে যে আমরা এ মিডিয়াটি বন্ধ করে দিতে চাই। এজন্য একে কৌশলগতভাবে নিয়ন্ত্রণের কথা না বলে মনিটরিংয়ের কথা বলতে হবে। এজন্য আমাদের স্পষ্ট কিছু বিধিবিধান ও নীতিমালাও করতে হবে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিনাত হুদা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব বলেন। এই অধ্যাপক আরও বলেন, ‘এ ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী কোন কোন বিষয়গুলো ব্যবহার করতে পারবেন তা ঠিক করতে হবে। আবার বিষয়বস্তুর কথা যদি বলা হয় তাহলে সেখানে নারীকে কীভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, এগুলোও ঠিক করতে হবে। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সোশ্যাল অ্যাপগুলো এক ধরনের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে যায়। আবার ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ব্যবহারকারীকে সতর্ক থাকতে হবে। একজন চাইলেই যা মন চায় তা সোশ্যাল মিডিয়ায় বলতে পারেন না। ভাষাকে শোভনীয় ও সহনশীল করে উপস্থাপন করতে হবে। ব্যবহারকারীকে ঠিক করতে হবে তিনি কলতলার ভাষা ব্যবহার করবেন না সভ্যসমাজের ভাষা ব্যবহার করবেন। এসব বিধিনিষেধের ফলেই এসব অ্যাপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আবার একজন কোনো একটি কনটেন্ট কত দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে পারবেন তারও একটি সীমারেখা থাকা দরকার। কিছু ক্ষেত্রে সেন্সরশিপের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যেমন কেউ কোনো কুৎসিত ছবি পোস্ট করতে পারবেন না। বিশেষ করে যে ছবি বা বিষয়গুলো সমাজের মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জ করে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে ফেলছে, আমাদের শিক্ষা ও উপদেশ ধূলিসাৎ করছে এ ধরনের জায়গাগুলোয় নিষেধাজ্ঞা টানতে হবে। অর্থাৎ কোথাও না কোথাও দাঁড়ি টানতেই হবে। এ ছাড়া এসব বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। গণমাধ্যমকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। অভিভাবকদেরও লক্ষ্য রাখতে হবে তাদের সন্তানরা কোথায় কার সঙ্গে মিশছে এবং সন্তানদের সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কেও সম্ভব হলে খোঁজ রাখতে হবে।’

সর্বশেষ খবর