নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যবসায়ীরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন বলে জানিয়েছেন দেশের প্রাচীন বাণিজ্য সংগঠন ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান। তিনি বলেছেন, ‘এটি একটি ব্যয়বহুল বাজেট। এটি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ব্যবসায়ীদের আর্থিক প্রণোদনা, সামাজিক নিরাপত্তা ব্যয় বৃদ্ধি ও জনগণকে করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করবে। এ ছাড়া এসব ক্ষেত্রে বরাদ্দে উদ্যোগ থাকার কারণে একে জীবন-জীবিকার ভারসাম্য রক্ষায় অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজেট বলা যেতে পারে। তবে এত বড় বাজেট বাস্তবায়ন অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হবে। তাই রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করছি। বর্তমান বাজেটে রাজস্ব ঘাটতি ও অর্থায়ন একটি চ্যালেঞ্জ। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জিডিপির এই উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে করোনা সংক্রমণ রোধ করা এবং সবার জন্য করোনা টিকা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।’
গতকাল নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি যখন কভিডে বিপর্যস্ত, এমন কঠিন সময়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ঘোষিত জাতীয় বাজেটে (২০২১-২২) প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যথাক্রমে ৭ দশমিক ২ শতাংশ ও ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। এই সময়ে এরূপ অগ্রগতিমূলক ও অর্জনযোগ্য প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করছে। করোনাকালে আমরা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২ শতাংশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি, যেখানে সারা বিশ্বে জিডিপির প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক। তাই এ ধরনের উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে উত্তরণ ঘটাতে হবে, যা অনেকাংশে চ্যালেঞ্জিং। তবে বাজেটে কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত বরাদ্দ, প্রণোদনা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া, বিনিয়োগ বাড়ানো, কৃষি পুনর্বাসন, সামাজিক নিরাপত্তাবলয় বৃদ্ধিকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’