শুক্রবার, ৪ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

শুধুই পাখির কলতান

নজরুল মৃধা, রংপুর

শুধুই পাখির কলতান

রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ হাজার বৃক্ষ পাখির কলতানে মুখর হয়ে উঠেছে। করোনার কারণে ৭৫ একরের বিশ্ববিদ্যালয়ে মানুষের উপস্থিতি একেবারে কম। ফলে কোলাহলমুক্ত পরিবেশে গাছে গাছে বিচরণ করছে পাখি।

এর মধ্যে ছোট বসন্তবৌরি, নীলগলা বসন্তবৌরী, তিলা মুনিয়া, ধলাগলা মাছরাঙ্গা, মেঘহও মাছরাঙ্গা, কাঠঠোকরা, সবুজ কাঠঠোকরা, পাকড়া কাঠঠোকরা, লাল-সাদা-কালো-হলুদ রঙের কাঠঠোকরা, ভাত শালিক, কাঠ শালিক, চিল, ছেলে ও মেয়ে মৌটুসী, পাপিয়া, ফটিকজল, তিলা ঘুঘু, সবুজ সুইচোরা, খুড়ুলে পেঁচা, দোয়েল, হলদে বক, লাটোরা, সুরেলা পাপিয়া, খঞ্জনা, কানাকুয়া, রাজঘুঘু, হুদহুদ,   চাতক, চড়ুই, সবুজ সুইচোরা, ছোট চাপাখি, বুলবুলি, হাড়িচাচা, কসাই, বনচড়ুই, খয়রা পাখা পাপিয়া, চোখগেলো, কাক, ভোমরা ছোটন, সাতভাই সাতারে, ফিঙে, সাদা বক, ঝুটি শালিক, গোশালিক, বেনে বউ, সিপাহি বুলবুলিসহ অর্ধশতাধিক পাখির দেখা মিলেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে।

 কোলাহলের এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ছবি তুলতে আসছেন অনেকেই। করোনার জন্য সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ক্যাম্পাসে প্রবেশে কড়াকরি নির্দেশনা আরোপ করায় শিক্ষক, শিক্ষর্থীদের উপস্থিতি কমে যাওয়ায় বেরোবি’র ক্যাম্পাস পাখির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর পরিশ্রম করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫ হাজার গাছ রোপণ করেছি। সেই গাছ ডেকে এনেছে নতুন নতুন পাখি। কিছু কিছু পাখি রয়েছে যা আমরা সচরাচর দেখতে পাই না। দুর্লভ প্রজাতির পাখিও ক্যাম্পাসের গাছে রয়েছে। আমি নিজেই অর্ধশতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির পাখির ছবি তুলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়ে ওঠা গাছগুলো যেন দৃষ্টিনন্দন হয় সেলক্ষ্যে একটি পরিবেশ সংরক্ষণ কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই কমিটি পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে পাখিদের অভয়ারণ্য করার জন্যই এ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর