মঙ্গলবার, ৮ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয় ৪০ ভাগ আম

পুঠিয়া ও নাটোরে হচ্ছে হিমাগার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয় ৪০ ভাগ আম

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। তবে নেই আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা। ফলে প্রতিবছরই নষ্ট হচ্ছে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্র বলছে, প্রতিবছর শুধু কৃষক ও এলাকা ভিত্তিক উৎপাদিত ৩০ শতাংশ আম নষ্ট হয়। সেই সঙ্গে সংরক্ষণের অভাবে প্রায় ১০ শতাংশ ধরা গেলে দাঁড়ায় ৪০ শতাংশ। প্রতিবছর অবহেলাজনিত কারণে আমের ৪০ শতাংশ নষ্ট হচ্ছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, সংরক্ষণের জন্য পরীক্ষামূলক রাজশাহী বিভাগে দুটি হিমাগার স্থাপন হতে যাচ্ছে। যার একটি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুরহাট ও অন্যটি নাটোরের আহম্মদপুরে। দুই হিমাগারে রাখা যাবে ৮ মেট্রিক টন আম। রাজশাহীর বাঘা চাষি সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, তিন বছর থেকে তারা ইউরোপে আম পাঠাচ্ছেন। ট্রাকে আম বোঝাই করে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে প্যাকেজিং হাউসে রাখা হচ্ছে। রাজশাহীতে প্যাকেজিং হাউস না থাকায় নষ্ট হয় আম। বিদেশে আম রপ্তানির বিষয়ে বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, আমের ‘শর্টিং ও গ্রেডিং’ করতে হয়। আমের গায়ে কোনো দাগ থাকা চলে না। এ জন্য ফ্রুট ব্যাগিং করতে হয়। নির্দিষ্ট পরিমাণ বোঁটাও আমের সঙ্গে রেখে কাঁচি দিয়ে কেটে নিতে হয়। এসব নিশ্চিত করে কৃষি বিভাগ থেকে প্রত্যয়নপত্র নিতে হয়। তিনি আরও জানান, রাজশাহী থেকে আম নিয়ে যাওয়ার পর ঢাকার সেন্ট্রাল প্যাকেজিং হাউসে আমগুলো ‘হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট’ করা হয়। তারপর সেখানে ‘কোয়ারেন্টাইন পেস্ট’ করাতে হয়। সে সময় আমে কোনো লালমাছির ডিম বা লার্ভা যদি একটিতেও পাওয়া যায়, তাহলে আমের গোটা চালানই বাতিল করা হয়। সেই জায়গা থেকে আমচাষি ও ব্যবসায়ীকে সচেতন হতে হবে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কে জে এম আবদুল আউয়াল জানান, পরীক্ষামূলক সংরক্ষণের জন্য রাজশাহী বিভাগের দুটি জেলায় কোল্ড স্টোরেজ করা হচ্ছে। যার একটি রাজশাহীর শিবপুরহাট ও অপরটি নাটোরের আহম্মদপুরে। সেখানে ৪ মেট্রিক টন করে আম সংরক্ষণ সম্ভব হবে। পরীক্ষার ফল সন্তোষজনক হলে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

সর্বশেষ খবর