মঙ্গলবার, ৮ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

ফরিদপুরের মধুখালীতে পাটের বাম্পার ফলন

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ফরিদপুরের মধুখালীতে পাটের বাম্পার ফলন

ফরিদপুর জেলার সরকারি স্লোগান ‘সোনালি আঁশে ভরপুর, ভালোবাসি ফরিদপুর’। ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলাতে চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পাটের চাষ হয়েছে। উপজেলার সব ইউনিয়ন এলাকার মাঠে পাট দেখলে বোঝা যায় ফলন কেমন হবে। জমিতে যেভাবে পাট গাছ দাঁড়িয়ে আছে তাতে কৃষকের মন জুড়িয়ে যায়। ইতিমধ্যে সব এলাকার জমিতে পাট ৫/৬ ফুট লম্বা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে পাট পরিপক্ব হলে কৃষকেরা বাছপাট কাঁটতে শুরু করবে। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও পাটচাষিরা নিজস্ব উদ্যোগে জমিতে সেচের ব্যবস্থা করে আগাম পাট বীজ বপন করেন। সে কারণেই মাঠের পর মাঠ মন জুড়ানো সোনালি আঁশ পাট। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ৮ হাজার ৩৫২ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৫৫২ হেক্টর জমিতে। পাট বপনের পর অনুকূল আবহাওয়া ও সময়মতো বৃষ্টি পাওয়ার কারণে পাটের আকার এবং আঁশের পরিপক্বতা ভালো হবে। পাট পচানোর জন্য সময়মতো পানি হলে এ বছর পাটের ফলন হবে আশাব্যঞ্জক। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী, লক্ষীনারায়ণপুর, দাসের মোবারকদিয়া, রায়পুর, গোপালদি মেগচামী ইউনিয়নের মেগচামী মাঠ, নরকোনা মাঠ, কলাগাছি মাঠ, গাজনা ইউনিয়নের মথুরাপুর মাঠ, কোরকদি মাঠ, আড়পাড়া মাঠ, নওপাড়া মাঠ এলাকায় দেখা যায় প্রচুর পরিমাণে পাটের চাষ হয়েছে। পাট দেখলে মন ভরে যায়। কৃষকেরা জানান, সময়মতো পানি হলে পাট পচাতে কৃষকের সমস্যা হবে না। ব্যাসদী গ্রামের পাটচাষি লাভলু মিয়া, হাকিম সেক দুই একর করে পাট চাষ করেছেন। তারা জানান সেচ দিয়ে পাট বীজ বপন করেছি। বৃষ্টির অপেক্ষা না করে পাটের জমিতে দুই বার সেচ দিয়েছি। পাটের যে অবস্থা আমরা বাম্পার ফলনের আশা করি। গত বছর পাটের যে দাম পেয়েছি তাতে লাভের মুখ পাটচাষিরা দেখবেন বলে আশা করি। মেগচামী গ্রামের পাটচাষি সোহরাব শেখ জানান, আমার দুই একর জমিতে পাট রয়েছে। ভালো পাট জন্মেছে। দাম ভালো পেলে খুশি হব। মধুখালী বাজারের বিশিষ্ট পাট ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ মিয়া জানান, এ অঞ্চলের পাটের আঁশের মান ভালো হওয়ায় মিল মালিকদের কাছে পাটের চাহিদা রয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলভী রহমান বলেন, চলতি বছর আবহাওয়া পাট চাষের উপযোগী হওয়ায় এ বছর পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ৩৫২ থাকলেও পাট বীজ বপন হয়েছে ৮ হাজার ৫৫২ হেক্টর জমিতে। কৃষকের আগ্রহ আর আমাদের প্রচেষ্টায় আজকের এ অবস্থান। এ ছাড়া গত বছর পাটচাষিরা পাটের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর চাষিরা পাট চাষে আগ্রহী হয়েছে। এ বছর দাম ভালো পেলে কৃষকের উপকার হবে। আল্লাহর রহমতে যথা সময়ে পাট পচানোর জন্য পানির ব্যবস্থা হলেই আকাক্সক্ষা পূরণ হবে আশা করা যায়।

সর্বশেষ খবর