শুক্রবার, ১১ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

দিনাজপুর কারাগারে প্রথমবারের মতো ফাঁসি কার্যকর

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুর কারাগারে প্রথমবারের মতো ফাঁসি কার্যকর হলো। গত বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে এ ফাঁসি কার্যকর হয়। স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আবদুল হক নামে এক আসামির ফাঁসি কার্যকর করার মাধ্যমে দিনাজপুর কারাগারে প্রথমবারের মতো ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অহিদুল ইসলাম নামে যাজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদি জল্লাদ হিসেবে ফাঁসি কার্যকর করেন। দিনাজপুর জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাতেই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটাই দিনাজপুর কারাগারে প্রথম ফাঁসি কার্যকরের ঘটনা। আসামি আবদুল হক রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভক্তিপুর চৌধুরীপাড়া এলাকার মৃত আছির উদ্দীনের ছেলে। ২০০২ সালের ২৮ আগস্ট থেকে তিনি কারাগারে বন্দী ছিলেন।

এর আগে বুধবার বিকালে আবদুল হকের পরিবারের ১৫ সদস্য তার সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ করেন এবং খাবার খাইয়ে ঘণ্টাখানেক অবস্থান করে চলে যান। পরে রাতে তার ফাঁসি কার্যকর হয়। এ সময় রংপুর ডিআইজি (প্রিজন) আলতাফ হোসেন, জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. আবদুল কুদ্দুছ, চিকিৎসকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জেলা কারাগারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আবদুল হক তার স্ত্রী বেলী বেগমকে হত্যা করেন। এই ঘটনায় পরের দিন ৯ ফেব্রুয়ারি তার শাশুড়ি বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(ক) ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পাঁচ বছর পর ২০০৭ সালের ৩ মে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালত আবদুল হককে মৃত্যুদন্ডের রায় দেয়। পরে আবদুল হকের পরিবার হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলেও সেখানে সাজা বহাল থাকে। সর্বশেষ আবদুল হক রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। গত বছরের ১৮ মে রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন নামঞ্জুর করলে ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেয় কারা কর্তৃপক্ষ।  সে জন্য রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অহিদুল ইসলাম নামে যাজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদিকে আনা হয় জল্লাদ হিসেবে।

সর্বশেষ খবর