করোনা মহামারী মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৮৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি স্বাস্থ্যসহায়তা বা অনুদান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রয়েছে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামসহ ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির মাধ্যমে বাংলাদেশি জনগণের জীবন রক্ষায় ও কভিড-১৯-এর বিস্তার রোধে জরুরি স্বাস্থ্য চাহিদা পূরণে এ সহায়তা প্রদান করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের দ্বিতীয় চালানটি গতকাল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকা উইংয়ের পরিচালক সেহেলি সাব্রিন, ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ জোঅ্যান ওয়াগনার ও  ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর ডেরিক এস. ব্রাউন। দ্বিতীয় চালানের মধ্যে রয়েছে- স্বাস্থ্যসেবাদানকারী পেশাজীবীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী ও হাতের আঙুল থেকে শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা নিরূপণের যন্ত্র অক্সিমিটার।

ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত বছরের মার্চ থেকে শুধু কভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় বাংলাদেশকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের মোট স্বাস্থ্যসহায়তার পরিমাণ ৮৪ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। কভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশকে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি সর্বাধুনিক ১০০ ভেন্টিলেটরসহ বাংলাদেশ যাতে নিজেরাই ভেন্টিলেটর উৎপাদন করতে পারে সেজন্য গ্যাস অ্যানালাইজার দিয়েছে। বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অন্যান্য সহায়তার মধ্যে আরও রয়েছে- বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কয়েক লাখ ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম বা পিপিই, কেএন৯৫ সার্জিক্যাল মাস্ক, ফেস শিল্ড বা মুখের বর্ম, হ্যাজমেট স্যুট, পুরো শরীর ঢাকার গাউন, মেডিকেল-গ্রেড হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সার্জিক্যাল গ্লাভস, মেডিকেল গগলস। এসব সামগ্রী চিকিৎসা কেন্দ্র, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রথম সাড়াদানকারী ও শুল্ক পরিদর্শকদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া কভিড-১৯ আক্রান্তদের স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত হাজার হাজার চিকিৎসক ও সম্মুখসারির অন্য কর্মীদের সেবার মান বাড়াতে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।