শিরোনাম
রবিবার, ২০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

দুর্লভ আবাসিক পাখি জলময়ূর

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

দুর্লভ আবাসিক পাখি জলময়ূর

ময়ূর সবাই চেনেন। তবে জলময়ূর অনেকের অচেনা। এ ছাড়া জলময়ূর এলাকাভেদে নেউ, নেউপিপি, পদ্মপিপি ও মেওয়া নামে পরিচিত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার লম্বালেজী অনিন্দ্য সুন্দর পাখিটি বাংলাদেশে দুর্লভ। পাখির মাথা, গলা ও ডানার পালক-ঢাকনি সাদা থাকে। ঘাড় সোনালি-হলুদ, পিঠ গাঢ় বাদামি, বুক-পেট কালচে বাদামি ও লেজ কালচে। এ পাখির প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে জলাধারের কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসে। বনবিভাগ জলময়ূরের জাত রক্ষায় নানা কর্মসূচি নিয়েছে। প্রজননকালে জলময়ূর অত্যন্ত সুন্দর হয়ে ওঠে। এ সময় ২৫ সেন্টিমিটার লম্বা লেজসহ পাখির দেহের দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় ৩৯ থেকে ৫৮ সেন্টিমিটার। ওজনে পুরুষ ১১৩ থেকে ১৩৫ গ্রাম। স্ত্রী প্রজাতির পাখি ২০৫ থেকে ২৬০ গ্রাম হয়। পাখির মাথা, গলা ও ডানার পালক সাদা থাকে। ঘাড় সোনালি-হলুদ, পিঠ গাঢ় বাদামি, বুক-পেট কালচে-বাদামি ও লেজ কালচে হয়। একটি কালচে-খয়েরি রেখা মাথা ও ঘাড়-গলার সাদা ও সোনালি-হলুদ রংকে পৃথক করেছে। ঠোঁট নীলচে হয়। চোখ বাদামি ও পা নীলাভ-কালো। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম। জলময়ূর হাওর, বিল, হ্রদ এবং মিঠাপানির জলাভূমিতে বাস করে। দেশের প্রায় সব বিভাগেই দেখা যায় এ পাখিটি। গ্রীষ্মকালে একাকী বা জোড়ায় ও শীতকালে ঝাঁক বেঁধে বিচরণ করে। ভাসমান পাতার ওপর হেঁটে হেঁটে জলজ উদ্ভিদে থাকা পোকা-মাকড় ও অমেরুদণ্ডি  প্রাণী খায়। এ ছাড়া জলজ উদ্ভিদের কচি পাতা, অংকুর ও বীজ খেয়ে থাকে। স্ত্রী পাখিটি চারটি জলপাই-বাদামি চকচকে ডিম পেড়ে চলে যায়। পুরুষ একাই ডিমে ২৩ থেকে ২৬ দিন তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। ডিম থেকে ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই বাচ্চা হাঁটতে, সাঁতরাতে ও ডুব দিতে পারে। প্রায় দুই মাস পর্যন্ত বাবার তত্ত্বাবধানে থাকে।

সর্বশেষ খবর