বুধবার, ২৩ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

সংগীত দিবসে অতুলপ্রসাদের গান

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

সংগীত দিবসে অতুলপ্রসাদের গান

বিশ্বসংগীত দিবস পালনে সাত দিনের অনলাইন কর্মসূচির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ। গতকাল ছিল আসরের দ্বিতীয় দিন। এদিনের কার্যক্রম সাজানো ছিল আলোচনা ও সুরের মূর্ছনায়। রাত সাড়ে আটটায় সংগঠনটির ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচারিত হয় অনলাইনের ঘণ্টাব্যাপী এই আয়োজন। এদিনের আলোচনা পর্বে সংগীতের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন বরেণ্য গীতিকবি মোহম্মদ রফিকউজ্জামান। আসরের দ্বিতীয় দিনের আয়োজন সাজানো ছিল অতুলপ্রসাদের গানে গানে। এতে পঞ্চকবির এক কবি অতুলপ্রসাদের বিভিন্ন সময়ের ১৪টি হৃদয়ছোঁয়া গান পরিবেশন করেন সাতজন শিল্পী। সুরতীর্থের শায়লা হোসেন কান্তা পরিবেশন করেন ‘ওগো নিঠুর দরদী ও মুরলী কাঁদে রাধে রাধে, বৈতালিকের তনুশ্রী দীপক গেয়ে শোনান ‘তোমার নয়ন পাতে ঘুচিয়া গিয়াছে ও কে আবার বাজায় বাঁশি, গীতশতদলের মানসী সাধুর কণ্ঠে গীত হয় ‘আমার ঘুম ভাঙানো চাঁদ ও মম মনের বিজনে, সুরের ধারার জয়ন্ত আচার্য পরিবেশন করেন ‘ডাকে কোয়েলা বারে বার ও বঁধূ ক্ষণিকের দেখা, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার তানজিনা তমা গেয়ে শোনান ‘মেঘেরা দল বেঁধে যায় ও বধূ এমন বাদলে তুমি কোথা, বিশ্ববীণার সাজ্জাদ হোসেনের কণ্ঠে গীত হয় ‘জাগাও পথিকে ও সে ঘুমে অচেতন  ও শোনাও তোমার অমৃত বাণী ও লিটন চন্দ্র বৈদ্য পরিবেশন করেন ‘কে তুমি বসি নদীর কূলে ও একা মোর গানের তরী।

কথার সঙ্গে সুরের শৈল্পিকতায় ভার্চুয়াল জগৎকে মোহনীয় করে তোলেন শিল্পীরা। সাত দিনের এই অনলাইন সংগীত আসরে অংশ নিচ্ছে রাজধানীর ৪০টি সংগীত সংগঠন। প্রতিদিন রাত সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের ফেসবুক পেজে https:// www. facebook. com/ groups/ 2635285070125355  অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই ভার্চুয়াল আয়োজন। আগামী রবিবার শেষ হবে ‘সংগীত হোক বৈশ্বিক মহামারী নির্মূলের হাতিয়ার’ স্লোগানে বিশ্বসংগীত দিবসের সপ্তাহব্যাপী এ আসর।

শিল্পকলায় চলছে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব : উপমহাদেশের প্রথম চলচ্চিত্রকার হীরালাল সেনকে উৎসর্গ করে শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে চলছে আট দিনের ‘তৃতীয় বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব-২০২১’। দেশীয় চলচ্চিত্রের বিকাশ ও উন্নয়নে এ উৎসবের আয়োজন করেছে শিল্পকলা একাডেমি।

 গতকাল ছিল এ অনলাইন চলচ্চিত্র উৎসবের পঞ্চম দিন।

একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানান, করোনা মহামারীর কারণে শারীরিক উপস্থিতির পরিবর্তে উৎসবের আয়োজনে অনলাইনের আশ্রয় নেওয়া হলেও ভার্চুয়াল দর্শকদের কাছ থেকেও তারা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক ও ওয়েবসাইটে চলচ্চিত্রানুরাগী দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছে বলেও জানিয়েছে একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ। ভার্চুয়াল দর্শকদের অভিমতের বরাত দিয়ে একাডেমি জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে এ ধরনের উৎসব দর্শকদের অনলাইন বিনোদনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। তাই এ ধরনের উৎসব নিয়মিত আয়োজনের জন্য অনেক ভার্চুয়াল দর্শক অনুরোধ করেছেন বলেও জানান একাডেমি কর্তৃপক্ষ। সারা দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নির্মিত ৮১টি কাহিনি চলচ্চিত্র ও ৩৮টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র এবারের উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে।

এবারের উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উভয় ক্ষেত্রে পৃথকভাবে দুটি বিভাগে (কাহিনি ও প্রামাণ্য) শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বিশেষ জুরি শাখায় মোট সাতটি পুরস্কার প্রদান করা হবে। এ ছাড়া শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রহণ, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা, শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পনায় আরও চারটি পুরস্কার দেওয়া হবে।

স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উভয় ক্ষেত্রে পৃথকভাবে সাতটি বিভাগে পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রদান করা হবে। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ১ লাখ ২৫ হাজার, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ১ লাখ এবং বিশেষ জুরি পুরস্কার ৫০ হাজার, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রহণ ২৫ হাজার, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা ২৫ হাজার, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা ২৫ হাজার, শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পনায় ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

২৫ জুন শুক্রবার শেষ হবে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের আট দিনের এ অনলাইন উৎসব। শিল্পকলা একাডেমির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে (িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/ংযরষঢ়ধশধষধঢ়ধমব) প্রদর্শিত হচ্ছে উৎসবের ছবিগুলো।

প্রসঙ্গত, ১৮ জুন শিল্পকলা একাডেমির পেজবুক থেকে ভার্চুয়াল এ উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর