শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

মহামারীর মধ্যেও বিশ্বজুড়ে ৫২ লাখ নতুন ধনকুবের

প্রতিদিন ডেস্ক

কভিড-১৯ মহামারীতে অর্থনৈতিক বিপর্যয় সত্ত্বেও গত বছর বিশ্বজুড়ে ৫০ লাখের বেশি মানুষ মিলিয়নেয়ারের তালিকায় নাম তুলেছেন। মহামারীতে দরিদ্র যখন আরও দরিদ্র হচ্ছে তখন বিশ্বজুড়ে মিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ৫২ লাখ বেড়ে ৫ কোটি ৬১ লাখে দাঁড়িয়েছে বলে ক্রেডিট সুইচের এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। সূত্র : বিবিসি।

হিসাব অনুযায়ী ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বজুড়ে প্রাপ্তবয়স্কের ১ শতাংশের বেশি মিলিয়নেয়ার হয়েছেন। শেয়ারবাজারের ঘুরে দাঁড়ানো এবং বাড়ির দাম বৃদ্ধি তাদের সম্পদ বাড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে। মহামারীতে অর্থনীতির বেহাল দশার সঙ্গে সম্পদ সৃষ্টির সম্পর্ক ‘পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন’ বলেও মনে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা। অর্থনীতিবিদ ও গ্লোবাল ওয়েলথ রিপোর্টের লেখক অ্যান্থনি সরোকস জানান, মহামারী বিশ্ববাজারে স্বল্পমেয়াদে তীব্র প্রভাব ফেললেও ২০২০ সালের জুনের শেষ থেকে এ চিত্র মোটা দাগে উল্টে যেতে থাকে। ‘এমন টালমাটাল পরিস্থিতির মুখেও বৈশ্বিক সম্পদ কেবল স্থিতিশীলই ছিল না বরং বছরের দ্বিতীয় ভাগে তা হু হু করে বাড়তে থাকে’ বলেছেন তিনি। তবে এ সত্ত্বেও ২০২০ সালে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্পদের ব্যবধান আরও বিস্তৃত হয়েছে। সরোকস বলেছেন, বাড়ির দাম বৃদ্ধির মতো সম্পদের মূল্য বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ যদি মূল্যায়ন থেকে বাদ দিতে হয় তাহলে ‘বৈশ্বিক পারিবারিক সম্পদ সম্ভবত অনেকখানি কমে যাবে।’ তিনি বলেন, কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়তো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যাবে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো একসময় সুদের হার আবার বাড়তে শুরু করবে, যা সম্পদের মূল্য কমিয়ে আনবে। প্রতিবেদনে মোট বৈশ্বিক সম্পদের পরিমাণ ৭ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে বলেও জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২১ শতকের শুরুর দিকে যত মানুষের সম্পদের পরিমাণ ১০ হাজার থেকে ১ লাখ ডলারের মধ্যে ছিল, এখন তার তিন গুণের বেশি মানুষের এমন সম্পদ হয়েছে। তাদের হিসাবে ২০০০ সালে ১০ হাজার থেকে ১ লাখ ডলারের মধ্যে সম্পদ ছিল ৫০ কোটি ৭০ লাখ মানুষের; ২০২০ সালের মাঝামাঝি এমন সম্পদধারী মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭০ কোটি। উদীয়মান অর্থনীতি বিশেষত চীনের ক্রমবর্ধমান সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোয় মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিস্তৃতির কারণে সম্পদধারীর এ সংখ্যা বেড়েছে বলছেন গবেষকরা। সুদের হার কমানোর ফলেই শেয়ার ও বাড়ির দাম বাড়তে শুরু করে, যার প্রতিফলন দেখা যায় পারিবারিক সম্পদের ক্ষেত্রে, বলেছেন ক্রেডিট সুইসের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা নানেট হেকলার-ফাইডেরব। তবে এর ফলে কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নানেট বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় জনগণের ঋণের পরিমাণ ২০ শতাংশ পয়েন্ট বা তারও বেশি বেড়ে গেছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর