শুক্রবার, ২৫ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

গৌরনদীতে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় আরও একজন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য পদে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আরও একজন নিহত হয়েছেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় হামলার পর আহতাবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই মারা যান তিনি। এ নিয়ে ওই ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিন দিনে তিনজন নিহত হলেন। এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম মো. শাহ আলম খান (৬০)। তিনি পাশর্^বর্তী বার্থী ইউনিয়নের বড় দুলালী গ্রামের বাসিন্দা। শাহ আলম খাঞ্জাপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য পদে পরাজিত মন্টু হাওলাদারের ভায়রা ভাই। তার দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে রয়েছে। অরাজনৈতিক ব্যক্তি শাহ আলম কৃষি এবং সাংসারিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এই হত্যাকান্ডের জন্য ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী সদস্য ফিরোজ মৃধাকে দায়ী করেছেন শাহ আলমের স্বজনরা। তারা এই হত্যাকান্ডের কঠোর বিচার দাবি করেন। নিহতের ভাতিজা অপূর্ব খান জানান, পাশর্^বর্তী খাঞ্জাপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য পদে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মন্টুর ভায়রা শাহ আলমকে গত বুধবার সকালে হুমকি দেয় ফিরোজের সমর্থকরা। ওইদিন সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাঞ্জাপুরের বেইলি ব্রিজ এলাকায় আকস্মিক শাহ আলমের ওপর হামলা চালায় তারা। এ সময় তাদের কিল-ঘুষিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং রাত সাড়ে ৯টায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাতে মারা যান তিনি। নিহতের ছোট ভাই মজিবর খান জানান, তার ভাই শাহ আলম কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। স্থানীয় বাসিন্দা লিপি বেগম ও জেসমিন আক্তার জানান, ইউপি সদস্যপদে নির্বাচনকে কেন্দ্র তিন দিনের ব্যবধানে ওই এলাকায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ কারণে ওই এলাকায় আতঙ্ক এবং ক্ষোভ বিরাজ করছে। পুলিশের গ্রেফতারের ভয়ে কমলাপুর এবং বড়দুলালী গ্রাম অনেকটা পুরুষশূন্য হয়ে গেছে। গৌরনদী থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, শাহ আলমকে নির্বাচনের কারণে হত্যা করা হয়নি। ভ্যানে ওঠাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি। এর আগে গত ২১ জুন নির্বাচন চলাকালে খাঞ্জাপুরের কমলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ককটেল হামলায় মৌজে আলী মৃধা (৫৫) এবং ওইদিন সন্ধ্যায় এক সদস্য প্রার্থীর বিজয় মিছিলে ককটেল হামলায় আবু বক্কর (২৭) নামে আরও এক ব্যক্তি নিহত হন।

আমতলীতে সংহিসতায় আহত ৮ : আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি জানান, নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় আমতলী উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের চার নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত চার নারীকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বুধবার রাতে। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. মোর্শেদ আলম বলেন, চার নারীকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর