রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

রূপ-যৌবনে সেজেছে পাহাড়ি ঝরনা

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

রূপ-যৌবনে সেজেছে পাহাড়ি ঝরনা

পাহাড়ের বুক চিরে আছড়ে পড়ছে প্রবহমান জলধারা। গুঁড়িগুঁড়ি জলকণা আকাশের দিকে উড়ে গিয়ে তৈরি করছে কুয়াশার আভা। স্রোতধারার কলতান উচ্ছ্বাস ছড়াচ্ছে চারপাশে। যেন সবুজ অরণ্যে প্রাণের ছোঁয়ার পরশ এঁকেছে কেউ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব নৈসর্গিক সৃষ্টি রাঙামাটির পাহাড়ি ঝরনা। রাঙামাটি জেলায় ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড়ি ঝরনা থাকলেও নয়নাভিরাম ও বিস্ময়কর প্রাকৃতিক প্রাচুর্য শুধু রাঙামাটির বরকল উপজেলার শুভলং ইউনিয়নে দৃশ্যমান। যা দেখে হৃদয়-মন জুড়ে সৃষ্টি হয় ভালোলাগার এক বিশেষ শিহরণ। যার রূপমাধুর্য আকর্ষণ করে পর্যটকদের। কিন্তু চলতি বর্ষায় সেই পাহাড়ি ঝরনা যৌবন ফিরে পেলেও উচ্ছ্বাস নেই পর্যটকদের। জানা গেছে, বরকল উপজেলায় ছোট-বড় অন্তত আটটি ঝরনা রয়েছে। এর মধ্যে মূল অর্থাৎ গিরিনির্ঝর ঝরনাটি অত্যন্ত আকর্ষণীয়। প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু থেকে বর্ষায় জলধারার অবিরাম পতনে সৃষ্ট নিক্বণ ধ্বনি শোনা আর সে অপরূপ দৃশ্য না দেখলে কল্পনায়ও তা আঁকা অসম্ভব। প্রতি বছর বর্ষায় শুভলং ঝরনায় পর্যটকের ভিড় জমলেও এবার ভিন্ন চিত্র। টানা লকডাউনে নির্জন-সুনসান তবু সেই নৈঃশব্দ্যেরও এক নৈসর্গিক সৌন্দর্য ফুটেছে এ ঝরনা ঘিরে।

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের নৌযান ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. রমজান আলী জানান, শুষ্ক মৌসুমে ঝরনার জলধারা শুকিয়ে গেলেও বর্ষায় নিজ রূপবৈচিত্র্যে ফিরে আসে গিরিনির্ঝর। বর্তমানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় তেমনটাই হয়েছে। কিন্তু এবার ভিন্ন চিত্র। করোনার জন্য সবকিছু স্থবির। পর্যটক নেই। তবে এ মহামারীর একদিন অবসান হবে। জীবন আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে। আবার পর্যটকের ঢল নামবে পাহাড়ি ঝরনায়- এমনই আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর