রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

বয়স্ক ও উচ্চ ঝুঁকিতে থাকাদের প্রতি বছর টিকার বুস্টার ডোজ দরকার

-বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রতিদিন ডেস্ক

বয়স্ক ব্যক্তিদের মতো করোনা (কভিড-১৯) সংক্রমণের অতি ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের ভাইরাসের নানা ধরন থেকে সুরক্ষায় প্রতি বছরই টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রয়োজন হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির এক অভ্যন্তরীণ নথিতে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নথিতে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের প্রতি বছর টিকার বুস্টার ডোজ ও সাধারণ মানুষের দুই বছরে একবার বুস্টার ডোজ দেওয়া প্রয়োজন। খবরে বলা হয়, কীভাবে এমন উপসংহারে পৌঁছানো হলো- নথিতে সে বিষয়ের উল্লেখ নেই। তবে কিছু মৌলিক ধারণার ভিত্তিতে ওই পূর্বাভাস দিয়েছে স্বাস্থ্য সংস্থা। যেমন করোনার নতুন নতুন ধরনের আবির্ভাব ঘটবে ও সেসব ধরন থেকে সৃষ্ট সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় টিকারও নিয়মিত হালনাগাদকরণের প্রয়োজন হবে।

অভ্যন্তরীণ এ নথির বিষয়ে জানতে চাইলে জাতিসংঘের এ সংস্থা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে  এক মুখপাত্র বলেন, কোভ্যাক্সে করোনার ব্যাপক পরিসরের চিত্র বিবেচনায় নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

৮ জুনের ওই নথিতে আরও অনুমান করা হয়, বিশ্বজুড়ে আগামী বছর ১ হাজার ২০০ কোটি ডোজ করোনার টিকা উৎপাদিত হতে পারে। এটি ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনসের (আইএফপিএমএ) অনুমানের চেয়ে বেশি। আগামী বছর ১ হাজার ১০০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদিত হতে পারে বলে ধারণা সংস্থাটির।

উল্লেখ্য, টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মডার্না ইনকরপোরেট ও ফাইজার ইনকরপোরেটের পাশাপাশি এটির জার্মান সহযোগী প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক জোরেশোরেই বলে আসছে, উচ্চপর্যায়ের করোনা প্রতিরোধ সক্ষমতা (ইমিউনিটি) ধরে রাখতে হলে টিকার বুস্টার ডোজ প্রয়োজন। তবে এ বক্তব্যের পক্ষে এখনো তথ্যপ্রমাণ স্পষ্ট নয়। এ অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগামী বছর করোনার টিকা দেওয়া নিয়ে যে হতাশাজনক পূর্বাভাস দিয়েছে, তাতে ওই বছর ধনী ও দরিদ্র দেশের মধ্যকার এ বৈষম্য আরও বাড়তে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর