শিরোনাম
বুধবার, ৩০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

নিয়ন্ত্রণে আসছে না মৃত্যু ও সংক্রমণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, খুলনায় তিন সপ্তাহের বেশি চলছে লকডাউন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিয়ন্ত্রণে আসছে না মৃত্যু ও সংক্রমণ

সীমান্ত এলাকায় বিধিনিষেধ-লকডাউনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না সংক্রমণ ও মৃত্যু। প্রতিদিন সংক্রমণ ও মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। রাজশাহী বিভাগে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে সর্বোচ্চসংখ্যক রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছে। খুলনা বিভাগে গত দুই দিন ধরে ৩০ জনের বেশি মারা যাচ্ছে। এই দুই বিভাগের পাশাপাশি রংপুর বিভাগে মৃত্যু বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিভাগে ২২ জন, চট্টগ্রামে ১৬ জন, রাজশাহীতে ২১ জন, খুলনা ৩৫ জন, বরিশালে তিনজন, সিলেটে একজন, রংপুরে ১০ জন, ময়মনসিংহে চারজন মারা গেছেন। সীমান্তের জেলাগুলোতে মৃত্যু হার বেশি। রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। কিন্তু সংক্রমণ ও মৃত্যু কমার চেয়ে আরও বাড়ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা জানান, খুলনা বিভাগে করোনায় এক দিনে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে সর্বোচ্চ আটজন করোনায় মারা গেছেন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ হাজার ৩৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ হাজার ৩৭১টি। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গতকাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়তে থাকায় খুলনায় করোনা চিকিৎসায় আরও ১০০ শয্যা চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গতকাল খুলনা মেডিকেল কলেজ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১৩০ শয্যার বিপরীতে ১৮৩ জন ভর্তি ছিল। এ ছাড়া খুলনা জেনারেল হাসপাতাল ও গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও ১০৫ জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছে।

খুলনায় করোনা চিকিৎসায় সমন্বয়কারী খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, প্রতিদিন রোগীর চাপ বাড়ছে। যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তাদের প্রায় সবাই গুরুতর অবস্থায় আসছেন। যাদেরকে তাৎক্ষণিক অক্সিজেন দিতে হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনা ইউনিটে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুন) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের মধ্যে তারা মারা যান। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মৃত ২৫ জনের মধ্যে ৯ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। আর ১৬ জন ভর্তি ছিলেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ১২ জন, পাঁচজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের, নাটোরের পাঁচজন, নওগাঁর দুই ও চুয়াডাঙ্গার একজন। এ নিয়ে চলতি মাসের ২৯ দিনে (১ জুন সকাল ৮টা থেকে ২৯ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ৩৪৩ জন। রামেক হাসপাতাল পরিচালক শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭০ জন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪৫৯ জন। রামেক হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা ৪০৫টি।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল জানান, বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি এবং মৃত্যু বেড়েছে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, গত বছরের জুলাইয়ের পর বরিশাল মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে গতকাল  দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন সর্বাধিক ১৪০ জন রোগী। গত বছর জুলাইয়ে করোনার প্রথম ঢেউয়ে সর্বোচ্চ ১২১ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিল মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার) নতুন ভর্তি হওয়া ২৭ জনসহ চিকিৎসাধীন ছিলেন ১১৮ জন রোগী। করোনা ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি এবং মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে সাতক্ষীরা এবং বাগেরহাটের রোগী ভর্তি থাকায় তাদের মাধ্যমে বরিশালে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম জানান, করোনায় দিন দিন বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই চট্টগ্রাম নগরী ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আক্রান্ত হচ্ছেই। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। প্রায় ২৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ করোনায় আক্রান্তের শনাক্তের হার বাড়ার পাশাপাশি করোনায় মৃত্যু হচ্ছে প্রতিদিনই। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে একজন নগরীর বাসিন্দা, বাকি দুজন উপজেলার বাসিন্দা। সবমিলে চট্টগ্রাম নগরী ছাড়াও উপজেলার মিরসরাই, সীতাকুন্ড, ফটিকছড়ি, হাটহাজারীসহ কয়েকটি উপজেলায় দিন দিন আক্রান্ত বাড়ছে। নগরীর পর উপজেলাগুলোতে ঝুঁকির মধ্যে থাকায় জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দায়িত্বশীলরা কঠোর অবস্থানেও রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১ হাজার ৫০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হয়েছেন ৩৬৮ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরীতে ২২৬ জন এবং উপজেলার ১৪২ জন রয়েছেন।

হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমীন বলেন, বিভিন্ন উপজেলার মতো হাটহাজারী উপজেলায়ও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন ডা. মহিউদ্দিন খান। জেলা সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। শনাক্তের হার ১৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট জানান, সিলেটে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। নমুনা পরীক্ষায় প্রতিদিন আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছেন দুই শতাধিক। গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ২৫৮ জন। আর মারা গেছেন একজন। গত ২১ জুন সিলেট বিভাগে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্ত শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। আর গত সোমবার সেই হার বেড়ে ৩২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. সুলতানা রাজিয়া জানান, গেল ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের চারটি ল্যাবে যে ২৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে সিলেট জেলার ১৩৪ জন।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, আক্রান্ত আর মৃত্যু দিন দিন বাড়ছে সীমান্তবর্তী জেলা ঝিনাইদহে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঝিনাইদহে করোনায় তিনজন ও উপসর্গ নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ জানান, সকালে ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া ল্যাবে পরীক্ষা করে ১৪৪টি নমুনার ফলাফল এসেছে। এর মধ্যে ৯৩ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। আক্রান্তের হার ৬৪ দশমিক ৫৮ ভাগ।

দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। দিন দিন হাসপাতালে আক্রান্ত রোগী বাড়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এভাবে প্রতিনিয়ত রোগী বাড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুরে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা ১৬৬ জন। একই সময়ে দিনাজপুর জেলায় ২৯০টি নমুনা পরীক্ষায় ১৪৪ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত। শনাক্তের হার ৪৯.৬০ শতাংশ। একই সময়ে জেলার মধ্যে দিনাজপুর সদরে ১৪০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮৫ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত। আক্রান্তের হার ৬০.৭১ শতাংশ।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের শতকারা হার দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ৩ হাজার ৩২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে আরও ৩৩২ জন। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, নোয়াখালীতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট মৃত্যু ১৪১ জন। নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৭ জন। জেলায় মোট শনাক্ত ১১ হাজার ৫২ জন। তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার।

নাটোর প্রতিনিধি জানান, নাটোর সদর হাসপাতালে করোনাসহ উপসর্গে দুজন মারা গেছেন। এ ছাড়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন পাঁচজন। এ নিয়ে জেলায় গতকাল সাতজন মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নাটোরে ১৬১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ২৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১২ জনের দেহের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন ১৬৭ জনের দেহে নমুনা পরীক্ষা করে ৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। প্রতিদিনই নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে সংক্রমণের হার। সিভিল সার্জন ডা. হিরন্ব কুমার রায় বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য বিধি মানার বিকল্প নেই।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সদর ও টুঙ্গিপাড়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে এক নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৫ জনে। সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, করোনা আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে ওই তিনজন করোনা ইউনিটে ভর্তি ছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ১২১ জন। শনাক্তের হার শতকরা ৩২ ভাগ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরটিপিসিআর ল্যাব, র‌্যাপিড এন্টিজেন ও জিন টেস্টে ৫৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় চিকিৎসাধীন পাঁচ জেলার সাতজনের মৃত্যু এবং জেলায় নতুন করে ১৫২ জন আক্রান্ত হয়েছে। বগুড়া ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সাতজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এদের মধ্যে বগুড়ার তিনজন এবং চারজন অন্য জেলার বাসিন্দা। বগুড়ায় ৩৬৮টি নমুনায় ১৫২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ৪১ দশমিক ৩০ শতাংশ।

সর্বশেষ খবর