শনিবার, ৩ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ, গুলি ককটেল হামলা

নোয়াখালী প্রতিনিধি

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রাতের আঁধারে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ, গুলি ও ককটেল বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গণির লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে স্থানীয় জামাল মেম্বার ও গণির বাড়ির সামনে দফায় দফায় এসব ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে সেতুমন্ত্রীর ভাই আবদুল কাদের মির্জা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা চলে আসছে। তারই জেরে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর থেকে মির্জা সমর্থিত আবদুল গণির লোকজন ও বাদল সমর্থিত আবদুর রাজ্জাকের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গণি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের লোকজন তার বাড়ির সামনে এসে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে বাহার উদ্দিন, রুবেল হোসেন, মো. ইউছুফ, সবুজ মিয়া, ইলিয়াছ, ফিরোজ, হেলাল ও সাদ্দাম হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়। তারা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অপর দিকে চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক জানান, গত কয়েকদিন আগে রাজু ও ছায়েদ নামে দুজনকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয় গনির লোকজন। বৃহস্পতিবার রাতেও গণির লোকজন চরএলাহী বাজারে এবং জামাল মেম্বারের দোকান এলাকায় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তারই জের ধরে তার লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় এমরান ও রহিম নামে তার দুই সমর্থক আহত হন। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কারও পক্ষ থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

সর্বশেষ খবর