রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

হাসপাতাল থেকে পালিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

মাদকাসক্ত স্বামীর নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে হারপিক পান করে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন এক সন্তানের জননী গৃহবধূ মনিরা খাতুন (২১)। কিন্তু পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় এ যাত্রায় তিনি বেঁচে যান। প্রাণে বেঁচে গেলেও অসুস্থ থাকায় কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। গতকাল সকালে সবার অগোচরে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে কুমারখালী রেলস্টেশনের অদূরে মালবাহী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন গৃহবধূ মনিরা খাতুন। প্রথম দফায় সফল না হলেও এবার দ্বিতীয় দফায় তিনি আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিতে সক্ষম হন। নিহত ওই গৃহবধূ উপজেলার সদকী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের সিদ্দিক মন্ডলের মেয়ে।

নিহত গৃহবধূর বাবা সিদ্দিক মন্ডল জানান, প্রায় তিন বছর আগে বাটিকামারা তরুণ মোড়ের মনির হোসেনের ছেলে জনির সঙ্গে পারিবারিকভাবে মেয়ের বিয়ে দেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই মাদকাসক্ত জামাই কথায়-কথায় মেয়েকে নির্যাতন করত। এরই মাঝে মেয়ের কোলজুড়ে একটি সন্তান আসে। কিন্তু স্বামীর নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকে। নির্যাতনের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে স্বামীর ওপর অভিমান করে গত ২৮ জুন মনিরা হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেই থেকে হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। ভর্তি থাকা অবস্থায় শনিবার সকালে সবার অগোচরে হাসপাতালের অদূরে কুমারখালী রেল স্টেশনের নিকটবর্তী স্থান থেকে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মনিরা আত্মহত্যা করেন। এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, ট্রেনে কেটে মনিরা খাতুন নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

রেলওয়ে পুলিশ লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেছে।

সর্বশেষ খবর