বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা
ভার্চুয়াল আলোচনা

আধুনিক গানের ভবিষ্যৎ কী

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

আধুনিক গানের ভবিষ্যৎ কী

দেশের আধুনিক বাংলা গান নিয়ে সংগীতের বিদগ্ধজনের কপালে ভাঁজ পড়েছে। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বাংলা গান আটকে গেছে হারানো দিনের গানে। এ প্রজন্মের শিল্পীদের কণ্ঠে কোনো মৌলিক গান নেই। ফিল্মি গানের পরিধিটাও সংকুচিত হয়ে পড়েছে। একক অ্যালবাম প্রকাশনার বিষয়টিও স্তিমিত। অন্যদিকে হিন্দি গানের আগ্রাসন ও আকাশ সংস্কৃতির বিকাশে প্রজন্ম ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছে। দেড় বছর করোনার প্রকোপে বাংলা গানের কপাটে খিল উঠেছে। মৌলিক গানের কোনো আসর নেই। মঞ্চও হারিয়ে যেতে বসেছে। জীবিকার টানে গানের কারবারিরা হাঁটছেন ভিন্ন পথে। আধুনিক গানের পুনরুদ্ধারে করণীয়  নিয়ে ‘আমাদের আধুনিক গানের ভবিষ্যৎ কী?’ শিরোনামের অনলাইন টক-শোর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ। গতকাল রাত ৮টা থেকে ৮টা পর্যন্ত সংগঠনটির ফেসবুক পেজে অনুষ্ঠিত হয় ঘণ্টাব্যাপী এ ভার্চুয়াল টক-শো। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. বিশ্বজিৎ রায়ের সঞ্চালনায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ আয়োজনে আধুনিক গানের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন দেশবরেণ্য গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, মুনশী ওয়াদুদ, সুরকার শেখ সাদী খান, ফুয়াদ নাসের বাবু, সংগীতশিল্পী মাহমুদ সেলিম ও সুজিত মোস্তফা। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান  বলেন, আধুনিক গান পরিবর্তনকে স্বীকার করে কিন্তু তা যেন  শেকড় বিচ্ছিন্ন না হয়। শেকড়কে আঁকড়ে ধরেই সে তার ডালপালা বিস্তৃত করবে এবং বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়বে। সুরস্রষ্টা শেখ সাদী খান বলেন, আমাদের আধুনিক গান নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। কখনোই মেলোডি বর্জিত হয়নি। আমাদের গানে প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে, তাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা জানতে হবে। না হলে গানের মেলোডি হারিয়ে যাবে। আধুনিক বাংলা গানের ভবিষ্যৎ মেলোডি নির্ভরই হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর