বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

রাস্তায় গাড়ি-রিকশা মানুষ বেড়েছে

অলিগলি সবকিছুতেই অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাস্তায় গাড়ি-রিকশা মানুষ বেড়েছে

রাজধানীর সড়কে গতকাল যানজট -বাংলাদেশ প্রতিদিন

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার-ঘোষিত কঠোর লকডাউনের সপ্তম দিনের গতকাল রাজধানীর রাস্তায় মানুষ ও যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় তুলনামূলক বেশি ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশা চলতে দেখা গেছে। এ ছাড়া মহল্লার অলিগলি সবকিছুই ছিল অনেকটা স্বাভাবিক। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন সড়কের মোড়ে তল্লাশি চালিয়েছে। গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানায় গ্রেফতার হয়েছেন ১ হাজার ১০২ জন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা করেছে ২৪৫ জনকে। অন্যদিকে সারা দেশে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৯৩ জনকে ১ লাখ ২৬০ টাকা জরিমানা করেছে।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ফুটপাথের দোকানগুলো খোলা রাখতে দেখা যায়। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রিকশা ও ভ্যানে চড়তে দেখা গেছে একাধিক মানুষকে। এদিকে বৃষ্টির কারণে সকালে            যানবাহন সড়কে কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে যায়।

নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সেনা, বিজিবি, র?্যাব, পুলিশ ও আনসার মোতায়েন ছিল। তবে কিছু জায়গায় জরুরি ছাড়া বের হলে জরিমানা ও গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিতরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে কর্মস্থলে গেছেন।

ডিএমপি সূত্র জানান, বিনা কারণে বাইরে বের হওয়ায় ১ হাজার ১০২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত ২৪৫ জনকে ১ লাখ ৭১ হাজার ৯৮০ টাকা জরিমানা করেছে। ৮০৪টি গাড়িকে ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর আগে প্রথম দিনে গ্রেফতারের সংখ্যা ছিল ৫৫০, দ্বিতীয় দিনে ৩২০, তৃতীয় দিনে ৬২১, চতুর্থ দিন ৬১৮, পঞ্চম দিন ৪১৩ ও ষষ্ঠ দিন ৪৬৭ জন।

সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘর থেকে বের হয়ে পরিবহন সংকটে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামীরা। গণপরিবহন না থাকায় রিকশায় বেশি ভাড়া দিতে হয় বলেও অভিযোগ যাত্রীদের। গতকাল সকাল থেকে পুলিশ চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। গাড়ি থামিয়ে যাছাই-বাছাই করার ক্ষেত্রে অনেক সময় নেওয়ায় তৈরি হয়েছে যানজট।

সোহাগ নামে এক অটোচালক জানান, কয়েক দিন তিনি ঘরে বসে ছিলেন। আবার বাইরে বের হলেও ট্রাফিক পুলিশের মামলায় পড়তে হচ্ছে। এমন করে ঘরে বসে থাকলে খাবার জোগাড় করতে না পারার আশঙ্কা সোহাগের চোখে মুখে। তিনি বলেন, ‘তবু জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে বের হয়েছি। যাদের অফিস দূরে, সে ক্ষেত্রে মানুষ কী করবে। এদিকে আমাদেরও ঘরে খাবার নেই, তাই বাধ্য হয়েই বের হয়েছি।’

যাত্রাবাড়ী ও মতিঝিল এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তারা সকাল থেকে ডিউটি করে যাচ্ছেন। যার মুখে মাস্ক নেই তাকে সাবধান করে দিচ্ছেন। আর যাকে সন্দেহ হচ্ছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করছেন।

র‌্যাব সদর দফতর জানিয়েছে, তারা লকডাউনের সপ্তম দিনে সারা দেশে ১৯০টি টহল, ১৯৪টি চেকপোস্ট ও ২৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধকরণে বিনামূল্যে আড়াই হাজারের বেশি মাস্ক এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছে।

সর্বশেষ খবর