শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

জীবন-জীবিকার ভারসাম্য করা কঠিন

-শামস মাহমুদ

জীবন-জীবিকার ভারসাম্য করা কঠিন

ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ বলেছেন, জীবন-জীবিকার ভারসাম্য রক্ষা করা খুবই কঠিন। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য এটা আরও কঠিন। কোনটাকে বেশি গুরুত্ব দেবেন আর কোনটাকে কম গুরুত্ব দেবেন-এটা ভাবার কোনো সুযোগই নেই। দুটোকেই সমান ভাবতে হবে। তিনি বলেন, আমরা যদি আরও আগে কঠোর লকডাউন দিতে পারতাম তাহলে হয়তো সংক্রমণটার এমন বিস্তার হতো না। তবে কঠোর লকডাউন দিতে গেলে আবার জীবিকার কথা ভাবতে হয়। কারণ বেশির ভাগ মানুষই কাজের ওপর নির্ভরশীল। এমনকি ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে ঘরে বসে থেকে আমাদের মতো দেশের অর্থনীতিও টেকানো যায় না। ফলে আমাদের হাতে পথ খোলা আছে একটাই- সেটা হলো প্রয়োজনীয় সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা। আমরা যদি আমাদের ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বের মানুষগুলোকে ভ্যাকসিনেটেড করে ফেলতে পারি-তাহলে আমাদের মধ্যে করোনাভীতি কমে আসবে। অন্যদিকে বেশির ভাগই মানুষের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যাবে। এতে আমরা নিজেদের অনেকটাই নিরাপদ ভাবতে পারব। গতকাল শামস মাহমুদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে আরও বলেন, আমাদের মতো উৎপাদনশীল দেশে সম্পূর্ণ লকডাউনের মতো সিদ্ধান্তে যাওয়া যায় না। কারণ, আমাদের বেশির ভাগই শিল্পই হলো উৎপাদনশীল। এখানে মানুষকে তথা শ্রমিক বা কর্মীদের সরাসরি কারখানায় গিয়ে কাজ করতে হয়। যেটা ইউরোপ আমেরিকার ক্ষেত্রে ভিন্ন। সেসব দেশে তো সার্ভিস ওরিয়েন্টেড শিল্প। সেসব কাজ বেশির ভাগই ঘরে বসে করা যায়। অর্থাৎ ওই সেবাটা ঘরে বসে দেওয়া যায়। আবার তাদের ওখানে ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহারটাও অনেক বেশি। তবে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সরকার যে পলিসিতে এগোচ্ছে এটা আমাদের জন্য বেশ কার্যকর এবং সঠিক পলিসি বলে তিনি মনে করেন। কেননা যে কোনো উপায়ে হোক, যত অর্থই লাগুক মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার যে পলিসি এই মুহূর্তে এর চেয়ে ভালো কোনো পলিসি হতে পারে না। আবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎপাদনশীল কারখানাগুলোকে চালু রেখে রপ্তানিকে ধরে রাখাও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে তিনি মনে করেন।

সর্বশেষ খবর