শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

পোশাকশিল্প হুমকিতে ফেলার ঝুঁকি আছে

-সিদ্দিকুর রহমান

পোশাকশিল্প হুমকিতে ফেলার ঝুঁকি আছে

লকডাউনে পোশাকশিল্প হুমকিতে ফেলে দেওয়ার ঝুঁকি আছে বলে মনে করেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের শিল্প এবং বাণিজ্য সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, এখন লম্বা ছুটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে। পোশাকশিল্প কারখানা এলাকাগুলো থেকে শ্রমিকরা অনেকেই বাড়ি ফেরার পথে যেমন করোনা সংক্রমিত হবেন, তেমনি আবার কর্মস্থলে আসার পথেও করোনা আক্রান্ত হবেন। বাড়িতে গিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরেও করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে। এত কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরও রাজধানী ঢাকায় করোনা নিয়ন্ত্রণে নেই। তাহলে গ্রামে করোনা নিয়ন্ত্রণ করবে কে? বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ঈদ ও লকডাউনের দীর্ঘ ছুটিতে পোশাকপণ্য উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ক্রয়াদেশ বাতিল হবে। সময়মতো পণ্য ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করতে না পারলে ঝুঁকি বাড়বে। এতে বিপুল পরিমাণে আর্থিক ক্ষতি হবে। উদ্যোক্তারা বিপাকে পড়বেন। ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন-এফবিসিসিআইর সাবেক এই সহসভাপতি বলেন, দেশের তৈরি পোশাকশিল্প কারখানাগুলো আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে অনেক সচেতন। উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে পোশাক কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচল রয়েছে। এমন সময় দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ থাকলে  পোশাকশিল্প হুমকিতে ফেলে দেওয়ার ঝুঁকি আছে। তিনি বলেন, কার্গো উড়োজাহাজ ও কনটেইনার সংকটের কারণে এখনই সঠিক সময়ে পণ্য শিপমেন্ট হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে বন্ধের কারণে যে ক্ষতি হবে, তা পূরণ করবে কে? তার মতে, দেশ ও শ্রমিকদের স্বার্থে কারখানা খোলা রাখতে হবে। বর্তমানে প্রতিটি পোশাক কারখানায় অতিরিক্ত ক্রয়াদেশ রয়েছে, যা স্বাভাবিকভাবে সরবরাহ করতেই হিমশিম খাচ্ছেন পোশাকশিল্প মালিকরা।

সর্বশেষ খবর