শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

কুমিল্লার মায়াদ্বীপের কথা

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার মায়াদ্বীপের কথা

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা মেঘনা নদীবেষ্টিত একটি উপজেলা। মেঘনা নদীর নামেই এ নামকরণ। এ উপজেলার চারদিকে ঘিরে রয়েছে মেঘনা নদীর শাখা ও তার চরাঞ্চল। এ চরাঞ্চলের একটি হচ্ছে মায়াদ্বীপ খ্যাত নুনেরটেক। এ চরে গড়ে উঠেছে; স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ, বাজার ও স্যাটেলাইট ক্লিনিক।

গত বছর ডিসেম্বর মাসে নদীর তলদেশ দিয়ে নুনেরটেক চরাঞ্চলে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। বিদ্যুতের আলোর ঝলক আঁধার রাতে মাঝ নদী থেকে মনে হয় হাজার তারার মেলা। প্রতিদিনই বিকাল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত হাজারও মানুষ যাতায়াত করে এ চরে। যাতায়াতের ব্যবস্থা নিদারুণ কষ্টের। তারপরও ভ্রমণপিপাসুরা এ চরে যাতায়াত করা শুরু করেছেন ইতিমধ্যে। এ নুনেরটেক চর ছাড়াও নদীর মাঝখানে জেগে উঠেছে আরও একাধিক চর। এর মায়াময় পরিবেশ পর্যটকদের মন কেড়েছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠেছে এলাকাটি। সোনারগাঁ জাদুঘর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত এ মায়াদ্বীপটি। সোনারগাঁ থেকে বৈদ্যেরবাজার লঞ্চ ঘাট থেকে ট্রলার বা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় স্বল্প খরচেই যাওয়া যায় এ দ্বীপে। যারা পরিবার পরিজন নিয়ে সোনারগাঁয়ে বেড়াতে যান, তারা এখন এ মায়াদ্বীপও অল্প সময়ের জন্য হলেও ঘুরে আসেন। বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয়রা দ্বীপকে পর্যটনশিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনার হাতছানি দেখছেন। মায়াদ্বীপে

 ঘুরতে আসা পর্যটকরা মেঘনা নদীতে জেলেদের রুপালি ইলিশ মাছ ধরা দেখার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাওয়া পালতোলা নৌকার সমাহার আর মন কেড়ে নেওয়া মেঘনা নদীর ঢেউ দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ চরাঞ্চলের মায়াদ্বীপকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে তার সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করলে আরও বেশি পর্যটক এ চরে এসে  বেশি বেশি আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।

সর্বশেষ খবর